শিক্ষা ও শিক্ষার সংস্কার প্রসঙ্গে

তরুণ কান্তি বড়ুয়া | সোমবার , ১৩ জুন, ২০২২ at ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষা হচ্ছে মানবিক গুণ সমৃদ্ধ বিশেষ একটি মাধ্যম যা একজন লোককে সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। শিক্ষাই হচ্ছে জাতির মেরুদণ্ড। এটি আমাদের প্রত্যেকের জীবনে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় শিক্ষনীয় মাধ্যম। বিশ্ব ভ্রমাণ্ডে শিক্ষাই আমাদেরকে অন্য প্রাণিদের থেকে ব্যতিক্রমী হতে সহায়তা করে। এটি চৌকস সত্তা হিসেবে দক্ষতার সাথে জীবন মোকাবিলায় মানুষকে শক্তি যুগিয়ে যায়। অনেকের মতে শিক্ষা আমাদের দেশে প্রয়োজনের পরিবর্তে বিলাসিতা হিসেবে পরিগনিত হয়ে আসছে। জনগণের দোড় গোড়ায় শিক্ষাকে প্রবেশসাধ্য করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী শিক্ষা সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার গুরুত্ব সম্প্রসারিত না করা পর্যন্ত এ উদ্যোগ অসম্পন্নই থেকে যাবে। মানুষ আদর্শিক জীবনের জন্য শিক্ষার মূল্যবোধ উপলব্ধি করতে পারবে যদি তারা শিক্ষার গুরুত্ব সঠিক ভাবে অনুধাবন করতে পারে। শিক্ষা হচ্ছে সাফল্যের প্রবেশপথ। একজন শিশুর শিক্ষা জীবন ঘরেই শুরু হয়। কাজেই এটি এমন এক জীবন ব্যাপী প্রক্রিয়া যেটির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটে। শিক্ষা নিশ্চিত ভাবে একজন ব্যক্তির গুণাবলি, জ্ঞান, দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব ও আচরণের উন্নয়ন চিহ্নিত করে থাকে। শিক্ষার মাধ্যমে মনকে আলোকিত করার আগে আমাদের হৃদয়কে, অন্তরাত্মাকে আলোকিত ও পরিশুদ্ধ করতে হবে, নতুবা সে শিক্ষার কোনো মূল্য নেই। প্রায়োগিক ও উন্নয়ন মূলক শিক্ষার সম্প্রসারণ ঘটিয়ে সত্যিকার জ্ঞানী গুণী মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি ও পরিচালনা করতে হবে। সত্যিকার শিক্ষা মানুষকে উদার, সহিষ্ণু ও বিবেকবান হতে শিক্ষা দেয়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যোগ্যতার সাথে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সকলকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে যেখানে থাকবে না অন্ধত্ব, কুসংস্কার, আত্ম প্রবঞ্চনা বা হঠকারিতার কোনো ছোঁয়া। একজন ব্যক্তিকে সবসময় শিক্ষাগুরু না ভেবে শিক্ষার্থী হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই, যে শিক্ষা ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে সুফল বয়ে আনে। শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে একজন আদর্শ শিক্ষকের স্থান সবার উপরে। আদর্শ শিক্ষকের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের সত্যিকার শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনে ব্রতী হতে উদ্বুদ্ধ করে যাতে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র উপকৃত হয়। মাতা-পিতা সন্তানের জন্ম দান করেন আর শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের আলোয় সমৃদ্ধ জীবন গঠনে সহায়ক ভূমিকা ও অনুপ্রেরণা যুগিয়ে যায়। মানুষের জীবনে প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তার বিকাশে শিক্ষা অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রজ্ঞা ছাড়া শিক্ষা মূল্যহীন। প্রজ্ঞা বয়সে আসে না, প্রজ্ঞা আসে শিক্ষা ও শিক্ষণ পদ্ধতি থেকে।
শিক্ষা হচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম যা দারিদ্র্যতা ও বেকারত্ব নির্মূলে সাহায্য করে। শিক্ষার মাধ্যমেই একজন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি সহজেই একটি ভাল চাকরি পেতে পারে। অধিকন্তু এটি বাণিজ্যিক দৃশ্য পরিবর্তনে এবং দেশের সামগ্রিক কল্যাণে প্রভূত অবদান রাখে। শিক্ষা একজন ব্যক্তির জীবনে সফলতা ও গুণগত জীবন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষা মানুষকে স্বাধীন, স্বনির্ভর ও আত্মবিশ্বাসে সমৃদ্ধ হতে সাহায্য করে। শিক্ষাকে শুধু সাফল্যের প্রবেশদ্বার বললে যথার্থ বলা হবে না। কারণ এটি এমন এক ব্যবস্থা যা আপনার সম্মুখে অনেক দ্বার উন্মোচনের চাবিকাঠি হয়ে কাজ করবে। কাজেই শিক্ষাকে শুধু পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে গঠনমূলক গুরুত্বের মধ্য দিয়ে বিশ্ব কল্যাণের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। শিক্ষা সততই একটি জীবন ব্যবস্থা যা মানুষের মনোজগতকেও সমৃদ্ধ করে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও অর্থনীতি সহ অনেক ইতিবাচক বিষয়ে সম্যক ধারণা দিতে সক্ষম।
এবার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিচারে শিক্ষা ব্যবস্থা কোন পর্যায়ে তা নিয়ে কিছুটা আলোকপাত করার চেষ্টা করছি। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বৈষম্যমূলক নীতির শিকার হয়ে আসছিল। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন পর্যন্ত ভাষা ও শিক্ষার দাবি আদায়ের লক্ষে অনেকের বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। ছাত্র জনতার প্রবল প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব খান গণবিরোধী শরীফ কমিশন রিপোর্ট প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ড. কুদরত ই খুদা শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। এ পর্যন্ত পরবর্তী সময়ে গঠিত বিভিন্ন শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট প্রকাশ করলেও এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আশাপ্রদ ও লক্ষ্যণীয় কোনো পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ শিক্ষাক্ষেত্রের দুরাবস্থা যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই পড়ে আছে। শিক্ষা সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার হিসেবে বিশ্বের দেশে দেশে গৃহীত হয়েছে। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা পত্রের ২৬ ধারায় সকল নাগরিকের জন্য শিক্ষালাভের অধিকার ঘোষণা করা হয়েছিল। অন্ততপক্ষে প্রাথমিক ও মৌলিক পর্যায়ে শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হবে। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সাধারণ ভাবে সহজলভ্য থাকবে এবং উচ্চশিক্ষা মেধার ভিত্তিতে সবার জন্য সমভাবে উন্মুক্ত থাকবে। এ ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার পর জাতিসংঘ সব সদস্য রাষ্ট্রকে এটি বাস্তবায়নের জন্য আহবান জানায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে অনেক দেশে সেটি এখনো পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। মানবতাবাদী ও কল্যাণমুখী শিক্ষার কথা ভাবলে শিক্ষার দর্শন, অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনা এমন হওয়া প্রয়োজন যেখানে সবার জন্য অভিন্ন, অসাম্প্রদায়িক ও বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা চালু থাকে। পৃথিবীর যে সমস্ত দেশসমূহ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে এগিয়ে আছে তাদের শিক্ষার ইতিহাস এমনই গৌরবোজ্জ্বল। ৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে সংবিধানের চার মূলনীতি, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ’ এর আলোকে এবং সংবিধানের ১৭এর (খ) ধারার আলোকে সর্বজনীন বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং সেই সাথে শিক্ষাকেও অকার্যকর করার অশুভ তৎপরতা শুরু হয়। সংবিধানে একই ধারায় সর্বজনীন বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের অংগীকার থাকলেও আজও দেশে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। বিশেষ করে ইংরেজি মাধ্যমের নামে বেঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বজনীন বিজ্ঞানভিত্তিক অভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মুখে বিরাট অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শিক্ষায় অর্থায়ন অপ্রতুল। শিক্ষা প্রশাসনে দলীয়করণ, এম.পি.ও ভুক্ত, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয়করণ, শত শত বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও কলেজ, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মেডিকেল কলেজ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি অভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর ধারণাকে শুধু প্রশ্নবিদ্ধ করেনি বরং এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান নিয়ে জনগণ বিশেষ করে শিক্ষাবিদ, শিক্ষানুরাগী ও দেশপ্রেমিক আমজনতার অন্তরে যথেষ্ট সংশয় সৃষ্টি করেছে। শিক্ষকতার সুবাদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে ইংরেজি বিষয়ে প্রভাষক পদ প্রার্থী কিছু সদ্য অনার্স-মাস্টার্স করা নবীনদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করার সুযোগ হয়েছিল বেশ কয়েকবার। তাদের মধ্যে দুটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স-মাস্টার্স করা এক মহিলা প্রার্থীকে ইংরেজি সাহিত্যের রোমান্টিক যুগের অন্যতম প্রধান কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ ‘এর একটি কাব্যগ্রন্থের নাম বলতে বলি। উত্তরে মেয়েটি সঠিক উত্তর দিতে ব্যর্থ হন। নামকরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র, খুবই চৌকস, অনর্গল ইংরেজি বলতে পারে। তাকে দুটো প্রশ্ন করেছিলাম। সেই ছাত্র দুটো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থেকে বিরত ছিল। আমার তখন মনে হয়েছিল এসব বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কিছু নির্ধারিত প্রশ্ন দিয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা পাশের সুযোগ দেওয়া হয়। বিষয়ের গভীরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন যেন কেউ অনুভব করেন না। এক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মান তুলনামূলক ভাবে অনেক ভালো। তারপরও কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। দেশের সরকারি বেসরকারি স্কুল কলেজ গুলোর মান অতীতের ঐতিহ্যকে কতখানি ধরে রাখতে পারছে সে ব্যাপারেও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আগেকার দিনে প্রাইভেট টিউশন বা কোচিং সেন্টারের গুরুত্ব তেমন ছিল না বললেই চলে। শিক্ষার্থীরা কোচিং কিংবা প্রাইভেট পড়ার দিকে ঝুঁকত না। এখন কিন্তু প্রাইমারি থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে এ ধারাটি যেন নিত্য নৈমিত্তিক একটা প্রয়োজনীয় বিষয় হয়ে চলে আসছে। শিক্ষানীতির বৈষম্যের কারণে বা বাণিজ্যিক মন মানসিকতার কারণে হলেও ধনী দরিদ্র অনেক মা-বাবাকে তাঁদের ছেলে মেয়েকে প্রাইভেট কিংবা কোচিং সেন্টারে পাঠাতে বাধ্য হয় পাছে তাদের ছেলে মেয়েরা ভালো ফলাফল লাভে ব্যর্থ হয়। আগেকার দিনে অর্থনৈতিক বা সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মানুষের মনে তেমন বড় ধরনের চাওয়া পাওয়ার অত্যুচ্চ আকাঙ্ক্ষা কাজ করতো না। তাই ভালো শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিরাই অন্য কোনো পেশায় না গিয়ে শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় থেকে যেতেন। শিক্ষক শিক্ষকতাকে মহান ব্রত হিসেবে গ্রহণ করতেন। বর্তমানে অনেকে শিক্ষকতা পেশাটিকে অবহেলিত পেশা হিসেবে দেখে থাকেন। তাছাড়া অভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা, বৈষম্যহীন শিক্ষানীতির অভাব ও পেশাগত সুযোগ সুবিধা অভিন্ন না হওয়ার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে অনীহা প্রকাশ করে। অনেক সময় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রভাব, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পক্ষপাতিত্বমূলক নীতির কারণে ভালো ফলাফল লাভ করা অধিক যোগ্য প্রার্থীরা নিয়োগ লাভে বঞ্চিত হয়ে থাকে। ভালো শিক্ষা প্রত্যাশা করলে ভালো শিক্ষা ব্যবস্থা ও ভালো শিক্ষক থাকা প্রয়োজন। শিক্ষা সম্পর্কীয় দপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সরকারকে বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় আনতে হবে নতুবা শিক্ষাক্ষেত্রের দুর্যোগময় পরিস্থিতি জাতিকে মহা দুর্যোগের দিকে ঠেলে দিবে। জাতিকে বাঁচাতে হলে, দেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে হলে শিক্ষাকে নিয়ে হঠকারিতা ও অবহেলা আর চলতে দেওয়া উচিৎ নয়। সচেতন সাধারণ জনগণ, রাষ্ট্রযন্ত্রের সাথে সম্পৃক্ত মহল, ছাত্র শিক্ষক সর্বোপরি সরকারকে জাতির অস্তিত্ব, শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থে দৃঢ় বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে নতুবা জাতির সামনে ঘোর দুর্যোগ আসলে সেখান থেকে উত্তরণের জন্য জাতির কাছে আর কোনো পথ খোলা থাকবে না। কাজেই আর বিলম্ব নয়, প্রয়োজনীয় সঠিক পথটাই আমাদের সকলকেই খুঁজে বের করতে হবে।
লেখক : শিক্ষাবিদ; সাবেক অধ্যক্ষ, রাঙ্গুনিয়া কলেজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপোড়া লাশের আর্তনাদ আর কতদিন
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম মঞ্চ সংগীত শিল্পী সংস্থার বর্ষপূর্তি