চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ‘শহীদ’ হিসেবে তুলে ধরে তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর দেওয়া স্লোগানের প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। গতকাল জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘গৌরব ৭১’ আয়োজিত এ সমাবেশ থেকে হুম্মাম কাদেরের স্লোগানকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’ উল্লেখ করে তার বিচার দাবি করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
সমাবেশে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফলাজুর রহমান বাবু বলেন, জিয়া ক্ষমতায় আসার পর থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতিতে এনেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসিয়েছে। পরবর্তীতে খালেদা জিয়াও একই কাজ করেছে। কিন্তু ১৯৮১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে এসে রাজাকারদের বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় এসে আবার এ পথ বন্ধ করার নানা ফন্দি করেছে। তবুও বঙ্গবন্ধুকন্যা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
গত বুধবার চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার পর নিজের বাবাকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করার পাশাপাশি ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান তোলেন। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, এগুলো তার (হুম্মাম) ব্যক্তিগত বক্তব্য। এটার সাথে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নাই। এটা বিএনপির রাজনীতির অংশ নয়।
শাহবাগের সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সানজিদা খানম বলেন, আমি একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ১৯৭২ সালে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী সাকা চৌধুরীর বিচার হলে হুম্মাম চৌধুরীর জন্ম হতো না। আজকে তার অঙ্গভঙ্গি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। কাজেই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা উচিত।
মুক্তিযোদ্ধা বিচ্ছু জালাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত করার জন্য যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার সাকা চৌধুরীর পুত্র হুঙ্কার দিয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র জমা দিয়েছি, কিন্তু ট্রেনিং জমা দেয় নাই।
গৌরব ৭১-এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন বলেন, বিএনপির নামে স্বাধীনতা বিরোধীদের যে ফ্রন্ট, তারা মহাসমাবেশে এদেশের স্বাধীনতাকে কলঙ্কিত করেছে। দ্রুততম সময়ে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। একই সাথে হুম্মামের বিরুদ্ধে আইনি মোতাবেক সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় আমরা গৌরব ৭১ সংগঠন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করব।
