রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার ও তার স্বামী রাব্বিকে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের চরকয়া এলাকায় ফুফু শাশুড়ির বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর আয়েশার ফুফু শাশুড়ি মিনারা বেগম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, রাব্বি আমার মেজ ভাইয়ের ছেলে। ওরা দীর্ঘদিন থেকে ঢাকায় থাকে। আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না। বুধবার সকালে আমাদের বাড়িতে আসে। আমরা রাব্বিকে চিনতে পারিনি। পরিচয় দিলে চিনতে পারি। ওর সঙ্গে স্ত্রীও ছিল। পরে আমরা নাশতা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই পুলিশ এসে ওদের গ্রেপ্তার করে। খবর বিডিনিউজের। মিনারা বেগম বলেন, পুলিশের সঙ্গে আমার ভাইয়ের স্ত্রী রাব্বির মা সঙ্গে এসেছিলেন। তিনি আমাদের বলেছেন, ছেলে ও পুত্রবধূর তথ্য তিনিই পুলিশের কাছে দিয়েছেন। আয়েশার স্বামী রাব্বি বলেন, অভাব থাকলে অনেক কিছু হয়। আমার স্ত্রী ওই বাসা থেকে মোবাইল ল্যাপটপসহ কিছু মালামাল নিয়ে আসার সময় তার ম্যাডাম পিছন থেকে আটকিয়ে রাখে। সে বেঁচে আসার চিন্তায় এমনটা করেছে।
নলছিটি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফ আলী বলেন, মোহাম্মদপুর থানার একটি দল গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত ঢাকা থেকে জানানো হবে।
গত সোমবার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে লায়লা ফিরোজ (৪৮) এবং তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজের (১৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতে আয়েশাকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন লায়লা আফরোজের স্বামী স্কুল শিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম।












