ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বরগুনার টিনের ঘর, ঢাকার উত্তরায় রাজউকের একটি ফ্ল্যাট ও আরও ৩৩ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে বরগুনা–১ আসনের সাবেক এই এমপির ১৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে, এসব হিসাবে ৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা রয়েছে। এছাড়া একটি সঞ্চয়পত্র, দুটি স্থায়ী আমানত হিসাব (এফডিআর) ও দুটি গাড়ি অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন–দুদকের উপসহকারী পরিচালক খাইরুল হাসানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য দিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
সম্পদ জব্দের আবেদন দুদক শম্ভুর টিনের ঘর, রাজউকের ফ্ল্যাট ও ঢাকার আফতাবনগরে ইস্টার্ন হাউজিং, বরগুনা সদর ও আমতলীতে মোট ৩৩ বিঘা জমি থাকার কথা বলা হয়েছে। এসব সম্পদের দাম ৯৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা দেখানো হলেও প্রকৃত মূল্য ২ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা বলে দুদক আবেদনে তুলে ধরেছে।
এতে বলা হয়, শম্ভু জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখেন। তিনি নিজ নামে মোট ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ৪১ কোটি ৯৩ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
দুদক বলেছে, তদন্তকালে জানা যায়, আসামি তার অর্জিত স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অবিলম্বে এসব সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
গণআন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রায় তিন মাসের মাথায় ১১ নভেম্বর ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শম্ভুকে। তার আগে ২৫ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।