বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় উত্তরার আজমপুরের কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ই–ক্যাবের সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
শুনানির আগে শমী কায়সারকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় সাবেক সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, এমপিকেও আদালতে তোলা হয়, এদিন তাদেরও গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের উপরে শুনানির দিন ঠিক ছিল। খবর বিডিনিউজের।
শুনানির চলাকালে আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের সাথে গল্প করতে দেখা গেছে শমী কায়সার। পরে বিচারক এই অভিনেত্রীর গ্রেপ্তার আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেওয়ার পর তাকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সরকারের বদলের প্রেক্ষাপটে মন্ত্রী–এমপিদের পাশাপাশি বিগত আওয়ামী লীগ ‘সরকার ঘনিষ্ঠ’ তকমা দিয়ে অনেক সাংস্কৃতিক কর্মীর নামেও মামলা হয়। গত ৬ নভেম্বর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে কারাগারেই আছেন শমী কায়সার।
শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার ও লেখক, গবেষক, শিশু সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সার দম্পতির সন্তান শমী কায়সার নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। পরে তিনি প্রযোজনায়ও নাম লেখান। শমী অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন তিনি ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই–ক্যাব) সভাপতি ছিলেন। হয়েছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালকও। গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ১৪ অগাস্ট ই–ক্যাব সভাপতির পদ ছাড়েন শমী কায়সার। তিনি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ–কমিটির সদস্য ছিলেন। চলতি বছর দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ফেনী–৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি।