শব্দ দূষণ নগরজীবনে স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম কারণ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী, মানুষের শব্দ গ্রহণের সহনীয় মাত্রা ৪০ থেকে ৫০ ডেসিবল। অথচ সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, চট্টগামের নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষিত এলাকাতেও শব্দের মাত্রা এর চেয়ে অনেক বেশি। এখন নগরজীবনে স্বাস্থ্যঝুঁকির একটি অন্যতম কারণ শব্দ দূষণ। নির্মাণকাজ, দ্রুত অপরিকল্পিত নগরায়ন, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে এ সমস্যা ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শব্দদূষণ এখন আরেক নীরব ঘাতক।
গতকাল শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কেবি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারীত্বমূলক প্রকল্প’ শীর্ষক সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। কর্মশালায় বলা হয়, মোট শব্দদূষণের অর্ধেক দূষণ হচ্ছে যানবাহনে। আর যানবাহনের দূষণের মাত্রা বেড়েছে হাইড্রোলিক হর্ণের কারণে। শব্দ দূষণের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। জলজপ্রাণীরাও শব্দদূষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে উপস্থাপিত প্রেজেন্টেশনে উল্লেখ করা হয়। শব্দ দূষণের কারণে কানে কম শোনা, হৃদ রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা, মানসিক সমস্যা, গর্ভস্থ বাচ্চা নষ্ট, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (বধির) শিশু জন্ম নেয়। বিশ্বে জনসংখ্যার ৫ শতাংশ শব্দ দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মো. নূরুল্লাহ নূরী। এতে ভিডিও প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক খন্দকার মাহমুদ পাশা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ঈসমাইল খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রহমান, সিএমপির উপ-কমিশনার (ট্রাফিক পশ্চিম) তারেক আহমেদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। এতে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুহিদুল আলম বক্তব্য রাখেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমনু মিয়া স্মৃতি ফাউন্ডেশনের খাবার বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধকুমিল্লা-৭ আসন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন প্রাণ গোপাল দত্ত