‘শত্রুতার আগুনে’ পুড়ল ধারে কেনা ১১টি গরু

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | বুধবার , ১৩ মার্চ, ২০২৪ at ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশের বৈলতলী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বুড়ির দোকান এলাকায় আগুনে পুড়ে মারা গেছে এক খামারির ১১টি গরু। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবদুল গফুর (৪৮) ধারদেনা করে গরুগুলো কিনেছিলেন। তার দাবি পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, কৃষক আবদুল গফুর কৃষি কাজের পাশাপাশি তার স্ত্রী ও ৬ ছেলে মেয়ের সহায়তায় ২ বছর আগে খামারটি গড়ে তোলেন। ধারদেনা ও বিভিন্ন স্থান থেকে ঋণ নিয়ে কিছুদিন আগে ১৫ লাখ টাকায় ১১টি গরু ক্রয় করেন। কিন্তু গতকাল মাত্র ১০ মিনিটের আগুনে তার সব গরু পুড়ে মারা যায়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে চন্দনাইশ দমকল বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলেও ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে সবকিছু শেষ হয়ে যায়। খামারের দরজা বন্ধ থাকায় গরুগুলো রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় থাকায় খামারের ভিতরেই মারা যায়। আবদুল গফুরের ছেলে ইমন হোসেন জানান, ঘটনাটি কোনভাবেই দুর্ঘটনা হতে পারে না। শত্রুতার আগুনেই তাদের খামারের ১১টি গরু জ্যান্ত পুড়ে মারা গেছে। একটি গরুও তারা জীবিত বের করতে পারেনি। দিনের বেলা তারা সবাই ক্ষেতে কাজ করছিলেন। বেলা ১১টার সময় তারা খামারে না থাকার সুযোগ নিয়ে কে বা কারা খামারে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কিছুদিন আগেই ১১টি গরু ১৫ লাখ টাকায় কিনেছিলেন আগামী কোরবানী ঈদে বিক্রির উদ্দেশ্যে। গরু কেনার ১৫ লাখ টাকার মধ্যে সিংহভাগ টাকাই ধারদেনা করা। এ ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান ইমন।

এদিকে শেষ সম্বল গরুগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় কৃষক আবদুল গফুরের কান্না যেন থামছেই না। তিনি খামারের ভিতরে গড়াগড়ি করছেন আর বলছেন শত্রুরা তার সব শেষ করে দিয়েছে। বৈলতলী ইউপি চেয়ারম্যান এসএম সায়েম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। আগুনে গরুগুলো পুড়ে যাওয়ায় ওই পরিবারের সব আশাভরসা শেষ হয়ে গেছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন ইউকে’র সাথে গাউসিয়া কমিটি চেয়ারম্যানের মতবিনিময়
পরবর্তী নিবন্ধকেন্দ্রীয় তপোবন আশ্রমের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন