চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এতে করে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরও বেড়ে যেতে পারে। খবর বাংলানিউজ ও বিডিনিউজের।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। অধ্যাদেশ দুটি হলো– মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫। অধ্যাদেশ জারির পর রাতেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। এতে করে শুল্ক ও কর বাড়ানোর বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হয়ে গেছে। এ অধ্যাদেশের ফলে নানা পণ্য ও সেবার খরচ বাড়বে। যেমন, মোবাইল ফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে। আবার পোশাকের দামও বাড়তে পারে। বাড়বে রেস্টুরেন্টে খাবারের খরচও। এ ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় আরও যুক্ত হবে মিষ্টি, ওষুধ, এলপি গ্যাস, ফলের রস, ড্রিংক, বিস্কুট, চশমার ফ্রেম, সিগারেটসহ নানা পণ্য। এই ভ্যাট ও মূসক সম্পূরক শুল্কের ফলে মানুষের জীবন নির্বাহের খরচ বাড়বে বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, এ ধরনের কর এমন এক সময়ে বাড়ানো হলো যখন দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান।
যেখানে খরচ বাড়বে :এত দিন মোবাইল ফোনে সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের ওপর ২০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপ হতো। এটি বাড়িয়ে এখন ২৩ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও বাড়বে। ব্র্যান্ডের দোকান ও বিপণিবিতানের তৈরি পোশাকের আউটলেটের বিলের ওপর ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া সব ধরনের রেস্তোরাঁর ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
শুল্ক–কর বৃদ্ধির তালিকায় আরও আছে টিস্যু, সিগারেট, বাদাম, আম, কমলালেবু, আঙুর, আপেল ও নাশপাতি, ফলের রস, যেকোনো ধরনের তাজা ফল, রং, ডিটারজেন্ট, মদের বিল, পটেটো ফ্ল্যাকস, চশমার প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেম, রিডিং গ্লাস, সানগ্লাস, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও তাতে ব্যবহৃত তেল, বিদ্যুতের খুঁটি, সিআর কয়েল, জিআই তার ইত্যাদি। এ ছাড়া ভ্রমণ করও বাড়ানো হয়েছে।
