শঙ্খের বিভিন্ন অংশে ধসে পড়েছে প্রতিরক্ষা বাঁধ

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | শনিবার , ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৪:২৩ পূর্বাহ্ণ

সাম্প্রতিক বন্যায় শঙ্খ নদের বিভিন্ন অংশে ধসে পড়েছে ভাঙন প্রতিরোধে বসানো প্রতিরক্ষা বাঁধ। অনেক স্থানে উপড়ে পড়েছে প্রতিরক্ষা বাঁধে বসানো আরসিসি ব্লক। বেশ কয়েকটি অংশ নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী, ধোপাছড়ি, চরবরমা, বৈলতলী, সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ, ধর্মপুর, বাজালিয়া, পুরানগড়, চরতী, আমিলাইশ ইউনিয়নে এ অবস্থা দেখা গেছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিদর্শন টিম ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করে মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, স্বাধীনতা পরবর্তী ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে খরস্রোতা শঙ্খনদের ভাঙনে চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার হাজার হাজার ঘরবাড়ি, মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন স্থাপনা, বিস্তীর্ণ ক্ষেতকামার বিলীন হয়েছে।

এদিকে সাম্প্রতিক বন্যায় ধসে পড়া প্রতিরক্ষা বাঁধ সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আবেদনপত্র দিয়েছেন কাটগড়কালিয়াইশের প্রাচীন সংগঠন নবকল্লোল যুব সংঘের নেতৃবৃন্দরা। শঙ্খনদের কাটগড় পয়েন্টে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে প্রতিরক্ষা বাঁধের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় এবার বন্যায় প্রতিরক্ষা বাঁধ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে দাবি তাদের।

ধোপাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুল আলীম জানান, বন্যায় ধোপাছড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায় প্রায় আড়াইশ ফুটের মতো অংশ থেকে উপড়ে গেছে ভাঙন প্রতিরোধে বসানো আরসিসি ব্লক। এছাড়াও বাজার সংলগ্ন ধোপাছড়ি খালের মুখে, চিরিংঘাটাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে অস্বাভাবিকভাবে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এবং ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিরক্ষা কাজ মেরামত করা না হলে আগামীতে ভাঙন আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম পওর বিভাগ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে সাহীদ জানান, সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় চন্দনাইশের ধোপাছড়ি, বৈলতলী, চর বরমা, দোহাজারী, সাতকানিয়ার পুরানগড়, বাজালিয়া, ধর্মপুর, কালিয়াইশ, খাগরিয়া, ব্রাক্ষ্মনডেঙ্গা, চরতি, নলুয়াসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিরক্ষা কাজের ব্যাপক ক্ষতি ও নদের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা গেছে। বন্যার পানি নামার সাথে সাথেই ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করে মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। বন্যায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা মেরামতে কমপক্ষে ৬৬ কোটি টাকার প্রয়োজন। বরাদ্দ পেলে দ্রুত মেরামত কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউত্তাল সাগরে সন্দ্বীপবাসীর ঝুঁকির যাত্রা
পরবর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগের উন্নয়ন কার্যক্রম মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে