মাথায় হেলমেট থাকলে বেঁচে যেত কলেজ ছাত্র ইমন (১৮)। এই অভিমত প্রত্যক্ষদর্শী ও ইমনের পরিচিত জনদের। গতকাল দুপুরে সে সখের বাইক নিয়ে নিজ বাড়ি রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা মগদাইর গ্রাম থেকে বের হয়েছিল কদলপুর গ্রামে খালাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। বাইকের পিছনে বসেছিল শহর থেকে গ্রামে বেড়াতে আসা সম্পর্কে ভাতিজা সামির।
জানা যায়, ইমন বাইক চালিয়ে কাপ্তাই সড়ক পথের দক্ষিণ রাউজানের গঙ্গা মন্দিরের সামনে পৌঁছলে পেছন থেকে আসা হানিফ পরিবহনের (ঢাকা–মেট্রো–ব ১৪–১৪১২) বাসকে ওভারটেক করতে চেষ্টা করে। এসময় ইমনের বাইকটি বাসটির সামনের দিকে ধাক্কা খেয়ে বাইকসহ দুজন রাস্তায় ছিঁটকে পড়ে। এই ঘটনায় স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত সামিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। নিহত ইমন উপজেলা পশ্চিম গুজরা মগদাই ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মনসুর আলীর বাড়ির প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের তিন সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলে। আহত সামির ওই গ্রামের মোহাম্মদ মুছার ছেলে। নিহত ইমন হাটহাজারীর সিটি কর্পোরেশন কুয়েশ কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। আহত সামির এবার এসএসসি পাস করেছে। রেজাল্ট পেয়ে সে বাড়িতে এসে ইমনের সাথে বেড়াতে বের হয়েছিল।
হতাহতদের গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের বারান্দায় শায়িত রাখা ইমনের লাশকে ঘিরে চলছে শোকের মাতম। এখানে লাশ দেখতে এসে উরকিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল বলেছেন, ইমন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। তার অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শান্তনা দেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন বাইকে আরোহীদের মধ্যে কারো মাথায় হেলমেট ছিল না। বাইকের গতি ছিল বেশি। হেলমেট থাকলে হয়ত ছেলেটি প্রাণে রক্ষা পেত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্বগুজরা পুলিশ ফাঁড়ির উপ–পরিদর্শক এসআই আরিফ বলেন, হানিফ পরিববনের সাথে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় ইমন নামের একজন নিহত হয়েছে, অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীর রয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে বাস ও মোটরসাইকেল জব্দ করেছি। বাসের চালক পালাতক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।