লোহাগাড়া-কক্সবাজারের ৬ প্রবাসীর মৃত্যু

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ

সৌদি আরবের মদিনা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি সোফা কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে সাত প্রবাসী প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের ছয়জনই বাংলাদেশী। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর চারটার দিকে উহুদ পাহাড়ের কাছে আল-খলিল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়। নিহত প্রবাসীদের মরদেহ মদিনার কিং ফাহাদ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এদের দুজন সহোদর। তারা হলেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুখছড়ি সাম্বির পাড়ার সোলতান আহমদের পুত্র মিজানুর রহমান (২৫) ও আরফাতুজ্জামান মানিক (২২)। এছাড়া তিনজনের বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা গ্রামে। তারা হলেন, জালাল আহমদের ছেলে ইসহাক মিয়া, একই এলাকার কবির আহমদের ছেলে আবদুল আযিয ও আবু গফুরের ছেলে মো. রফিক উদ্দিন। তবে ছয় বাংলাদেশীর মধ্যে বাকি একজনের বাড়ি রামু এলাকায় বলে একটি সূত্র জানালেও তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ের কাউন্সিলর (শ্রম) মো. আমিনুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মদিনায় অবস্থানরত কনস্যুলেট প্রতিনিধি ঘটনাস্থল ও থানা পরিদর্শন করেছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ (ওয়ার্কম্যান কম্পেনসেশান) পাবেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে লোহাগাড়া দুই সহোদরের মৃত্যুর খবর পৌঁছলে স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত সহোদরের বাবা সুলতান আহমদ জানান, তিনি জীবিকার তাগিদে প্রায় ৩২ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। গত ১০ মাস আগে তিনি দেশে চলে আসেন। বর্তমানে তিনি বাড়িতে থাকেন। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। মেয়েরা বড়। পরিবারের হাল ধরতে তার দুই ছেলে মদিনায় একটি সোফা কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। কারখানায় আগুনে তাদের মৃত্যু হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানা যায়নি। তিনি নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে দুই সহোদরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
আমাদের মহেশখালী প্রতিনিধি জানান, মহেশখালীতে একই গ্রামের তিন প্রবাসীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকন জানান, নিহত ৩ জনই তার ইউনিয়নের বাসিন্দা। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানকে জানিয়ে লাশ দেশে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঘর বাঁধার স্বপ্ন পূরণ হলো না বাবার
পরবর্তী নিবন্ধকর্মস্থলে ফেরা হল না পুলিশ সদস্য মুশফিকুরের