লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফুটবল প্রতীকের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহীনা আকতার সানার উপর হামলা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেসমিন আকতার ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
২ রা জুন (রবিবার) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের কাজির পুকুরের পূর্ব পাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে খবর পেয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাসান এবং লোহাগাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আহত অবস্থায় শাহীনা আকতার সানাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
আহত শাহীনা আকতার সানা দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমি গাড়িতে চড়ে নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে অতর্কিতভাবে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেসমিন আকতার ও তাঁর সমর্থকদের সামনে পড়লে তাঁরা আমার গাড়ির ড্রাইভার আবু সাইদকে মারধর করার চেষ্টা চালায় তখন আমি তাদের নিবৃত্ত করতে চাইলে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেসমিন আকতার আমাকে বলে আমি কেন তাঁর বাবার বাড়ির এলাকার নির্বাচন করছি।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মুখে এমন কথা শুনার সাথে সাথে তাঁর সমর্থকরা আমার উপর হামলা চালিয়ে আমাকে কিল ঘুষি লাথি মারাসহ আমার শ্লীলতাহানি করেছে। আমি নির্বাচন থেকে সরে না গেলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করছে। আমি নির্বাচন কমিশন এবং উপজেলা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কলস প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেসমিন আকতার দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমার প্রচারণায় থাকা লোকজনের উপর চলন্ত গাড়ি উঠিয়ে দিয়েছে সানার ড্রাইভার। সেই মুহুর্তে আমার সমর্থকরা উত্তেজিত হলেও আমি তাদের নিবৃত্ত করেছি। তর্ক বির্তক ছাড়া আর কোন মারামারি হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট অভিযোগ।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার শিমুল দত্ত দৈনিক আজাদীকে বলেন, আহত অবস্থায় শাহীনা আকতার সানাকে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হলে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ছাড়পত্র দিয়েছি। তাঁর অবস্থা গুরুতর না হলেও দু-একটি জায়গায় আঘাতের অস্তিত্ব আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাসান দৈনিক আজাদীকে বলেন, তাৎক্ষণিক ভাবে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছি। এবিষয়ে তদন্ত পূর্বক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।