লোহাগাড়ায় মহাসড়কের দুই পাশ অবৈধভাবে দখল করে বালুর স্তূপ রেখে ব্যবসা চালাচ্ছে অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা। এতে করে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন যানবাহন চালক ও পথচারীরা। অন্যদিকে সড়কের পাশে যত্রতত্র বালুর স্তূপ করে রাখায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাসহ সাধারণ পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। স্থানীয়রা আতংক নিয়ে চলাচল করলেও চুপ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
জানা যায়, চট্টগ্রাম–কঙবাজার মহাসড়কটি খুবই ব্যস্ততম। সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। প্রায় এক মাস যাবত পার্শ্ববর্তী উপজেলা চকরিয়া থেকে ট্রাক ভর্তি করে বালু এনে মহাসড়ক ঘেষে স্তূপ করে রেখে ব্যবসা করছে অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা।
সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী এবং পথচারীরা চলাচল করে। যথাযথভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করায় এসব বালু হালকা বাতাসে উড়ে পথচারীর চোখেমুখে পড়ে। ব্যস্ত মহাসড়কের পাশে বালুর ব্যবসা করার অনুমতি না থাকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখের সামনে প্রকাশ্যে চলছে ব্যবসা। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অবৈধ ব্যবসার পরিধি।
গত শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়ক ঘেঁষে উভয় পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে বালু। এরমধ্যে রয়েছে উপজেলার আধুনগর বাজারের দক্ষিণ পাশে, আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার সামনে, শাহপীর ফিলিং স্টেশনের পাশে, আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান কলেজ গেটের পাশে, পুরাতন থানা গেটের আশপাশে, ইউসুফ এন্ড সন্স ফিলিং স্টেশনের পাশে ও রাজঘাটাসহ প্রায় ১৫টি স্থানে বালুর স্তূপ দেখা গেছে। বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।
নিরাপদ সড়ক চাই লোহাগাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি মোজাহিদ হোসাইন সাগর জানান, চট্টগ্রাম–কঙবাজার মহাসড়ক এমনিতেই সরু ও অত্যাধিক বাঁকা থাকায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। তার উপর মহাসড়ক ঘেঁষে বালুর স্তূপ করে রেখে ব্যবসা করা কোন ভাবেই কাম্য নই। চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ–সহকারী প্রকৌশলী সুবাস চন্দ্রশীল জানান, মহাসড়কের পাশে স্তূপ করে বালু রেখে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না। যারা মহাসড়কের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বালুর ব্যবসা করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান জানান, মহাসড়কের পাশে বালুর স্তূপ করে রাখার কোন সুযোগ নেই। এব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।