লোহাগাড়ার চুনতিতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৩ বসতঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার দিবাগত রাত রাত ২টার দিকে ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাতগড় পশ্চিম চান্দা আলীর ডেবা ও চান্দারকুল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই সময় ডাকাতদের প্রহারে আহত হয়েছেন ৪ জন।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন আলীর ডেবা এলাকার সিরাজুল ইসলাম, নজির আহমদ ও চান্দারকুল এলাকার রবিউল হোসেন। ডাকাতের প্রহারে আহতরা হলেন আনোয়ারা বেগম (৫৫), নজির আহমদ (৬০), হাসিনা বেগম (৩৫) ও তোহা ছিদ্দিক আঁখি (১৩)। তাদের মধ্যে আনোয়ারা বেগম উপজেলার সদরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন বলে জানা যায়।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, গত রোববার রাতে প্রত্যেকে খাওয়া দাওয়া শেষে নিজেদের বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে প্রায় ২৫ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত প্রথমে চান্দারকুল এলাকায় রবিউল হোসেনের বসতঘরের দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। পরে বসতঘরে লোকজন দরজা খুলে দিলে ডাকাতদল ভেতরে প্রবেশ করে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি স্বর্ণের আংটি, ২টি মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
এরপর আলীর ডেবা এলাকায় সিরাজুল ইসলামের বসতঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে সশস্ত্র ডাকাতদল। বসতঘরের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, মোবাইল ও কাপড়–চোপড়সহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়। তাদের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী বসতঘর থেকে লোকজন বের হন। এই সুযোগে ডাকাতদল নজির আহমদের বসতঘরে প্রবেশ করে। পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, গরু বিক্রি করে রাখা ৮৫ হাজার টাকা ও মোবাইলসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত নজির আহমদ জানান, পার্শ্ববর্তী তার মেয়ের বাড়িতে ডাকাতির খবর পেয়ে বসতঘর থেকে বের হন। এই সুযোগে ডাকাতদল তার বসতঘরেও ঢুকে পড়ে। ডাকাতরা তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে মারধর করে টিলার উপর থেকে নিচে ফেলে দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এছাড়া ডাকাতদল তাকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, খবর পেয়ে রাতেই চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লোহাগাড়া থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মো. আলমগীর হোসেন জানান, ডাকাতির ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।