লোহাগাড়ায় নির্মাণ কাজ শেষ করার একদিন পরই ভেঙ্গে পড়েছে নালার এক পাশের দেয়াল।
শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে সদর ইউনিয়নের ১ নাম্বার ওয়ার্ডের চৌধুরী সড়কে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত এই নালা ভেঙ্গে পড়ে। এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, চৌধুরী সড়কে ১৫০ ফুট নালা নির্মাণের জন্য প্রায় ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ। স্থানীয় ইউপি সদস্যকে উক্ত কাজ পরিচালনা করার দায়িত্ব দেয়া হয়। গত ১ আগস্ট নালা নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। ১০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি। গত ১৫ আগস্ট উক্ত নালা নির্মাণের কাজ শেষ হয়। স্থানীয়রা শুরু থেকে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করে আসলে সেটি কেউ আমলে নেয়নি। ফলে কাজ শেষ করার একদিন পরই নির্মাণাধীন নালার এক পাশে প্রায় অর্ধেক অংশ দেয়াল ভেঙ্গে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইলিয়াছ জানান, নালা নির্মাণের কাজ শুরু থেকেই স্থানীয় ইউপি সদস্যকে একাধিকার নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি অবগত করেছি। কিস্তু তিনি বিষয়টি কর্ণপাত করেননি। ফলে নির্মাণ কাজ শেষ করার একদিন পরই নালার এক পাশের দেয়াল ভেঙ্গে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে দ্রুত ভেঙ্গে যাওয়া নালা পুণনির্মাণ করার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় চলমান বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হবে। সড়কের উপর পানি জমে জনদূর্ভোগ বাড়বে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর আহমদ জানান, নালা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর পরই টানা বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বৃষ্টি পানির সাথে সিমেন্ট ধুয়ে চলে গেছে। এতে নালার দেয়ালে মাটির চাপ পড়ায় ভেঙ্গে গেছে। নালা নির্মাণের মিস্ত্রিকে খবর দেয়া হয়েছে। এসে নালার ভেঙ্গে যাওয়া অংশ সংস্কার করে দিতে বলা হয়েছে।
লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুচ্ছাফা চৌধুরী জানান, নালার দেয়াল ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। উক্ত কাজ তদারকির দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য। ধারণা করা হচ্ছে, নির্মাণ কাজ ঠিকমতো তদারকি না করা ও বৃষ্টির মধ্যে কাজ করায় নালার দেয়াল ধসে পড়েছে। ভেঙ্গে যাওয়া নালার অংশ দ্রুত সংস্কার করার জন্য ইউপি সদস্যকে বলা হয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান জানান, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নালা নির্মাণের কাজ করার কারণে দেয়াল ভেঙ্গে পড়লে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।