লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী খোরশেদ আলম চৌধুরীকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
রোববার (২ জুন) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাছান এই নোটিশ জারি করেন।
কারণ দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ মে স্বতন্ত্র প্রার্থী খোরশেদ আলম চৌধুরী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দক্ষিণ হরিণা উচ্চ বিদ্যালয়কে প্রচারণার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করেন।
এর পূর্বে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রার্থীর প্রতিনিধি জানান, আনরস প্রতীকে প্রার্থী খোরশেদ আলম চৌধুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দায়িত্বরত আছেন। তাই ভূলবশত এবং নির্বাচনী আচরণবিধি না জানার কারণে অনেক কর্মী-সমর্থক কোন কোন প্রচার মাধ্যমে জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছবি ব্যবহার করেছেন।
তবে উপজেলাজুড়ে প্রার্থী কর্তৃক সরবরাহকৃত পোষ্টার, ব্যানার ও লিফলেটসহ প্রচারণার মাধ্যম সমূহে ওইসব ছবি ব্যবহার করা হয়নি বা হচ্ছে না। অঙ্গীকারনামা দেয়ার পরও গত ৩০ মে আধুনগর বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছবি ব্যবহার করা হয়। ওই সময় নিবচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পুণরায় গত ৩১ মে আমিরাবাদ বটতলী স্টেশনে নির্বাচনী প্রচারণাকালে জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে এবং প্রার্থী নিজেকে এমপি এম. এ. মোতালেব ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়–য়ার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা- ২০১৬ এর ধারা ৮(৫) লঙ্ঘন করা হয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাছান জানান, আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী খোরশেদ আলম চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। সোমবার (৩ জুন) সকাল ১০টায় প্রার্থী বা তাঁর প্রতিনিধিকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।