লিবিয়ার পুলিশ ভূমধ্যসাগর উপকূল থেকে পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে আটক করেছে বলে খবর দিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা। লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামানের বরাত দিয়ে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতির সময় গত ২৩ এপ্রিল ত্রিপোলির পূর্ব উপকূল থেকে তাদের আটক করা হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রাথমিকভাবে লিবিয়ার পুলিশ আমাদেরকে ৫০০ জন বাংলাদেশিকে আটকের কথা জানিয়েছে। তবে আমরা এ পর্যন্ত ২৪০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি। গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদেরকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে। খবর বিডিনিউজের।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে আব্দুল মোমেন বলেন, তিনি বলেছেন, যাদেরকে ফিরিয়ে আনা হয়, তাদের অনেকে আবারও অবৈধভাবে সেখানে যান। এটা কোনোভাবে বন্ধ করা যাচ্ছে না। একটু কমেছে অবশ্য। আমার মনে হয়, আপনারা সচেতনতা তৈরি করেন। বিদেশে গিয়ে কি কষ্টটা করে! গতকালও শুনেছি, এখনো যথেষ্ট লোক আটক আছে।
লিবিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, অস্থিতিশীলতার কারণে ২০১৫ সালে বাংলাদেশিদের লিবিয়ায় যাওয়া বন্ধ করেছিল সরকার। এর মধ্যে মোটামুটি স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করায় আবার তা চালু করা হয়। প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানের মতো দক্ষ লোকবল উচ্চ বেতনে সেখানে যাচ্ছে। তিনি বলেন, তারপরও দেশে অস্থিতিশীলতা আছে। কোনো কোনো এলাকায় ওয়ারলর্ড আছে। যারা অবৈধভাবে যান, তারা ওইসবের খপ্পরে পড়েন। আমরা ইতোমধ্যে কিছু লোক নিয়ে এসেছি। শুনলাম যে, আরও কয়েকশ লোক ওখানে আটক আছে। জেলে আছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
