একদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীত, অন্যদিকে নির্বাচনী জ্বরে কাঁপছে লামা পৌর শহর। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৬ জানুয়ারি পৌর নির্বাচন। এতে মেয়র পদে ৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটাররা জানিয়েছেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় বাড়ছে প্রচার-প্রচারণা। তবে একটি আধুনিক পৌর শহরের প্রত্যাশায় প্রার্থীদের অতীত কর্মকাণ্ড এবং কর্মদক্ষতা পরখ করে দেখছেন তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই পৌর এলাকায় দৃশ্যপট পাল্টে যায়। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অফিস পাড়া; সব জায়গাতেই আলোচনায় প্রার্থীরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। বিভিন্ন পাড়া-মহল্ল্লায় বসছে উঠান বৈঠক। বসে নেই মহিলা সমর্থকরাও। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলা ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন।
নির্বাচনী কার্যালয় সূত্র জানায়, লামা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. শাহিন এবং জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী এ টি এম শহিদুল ইসলাম। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন। সমর্থকরা জানান, করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন জহিরুল ইসলাম। দিয়েছেন বিভিন্ন সহায়তা। এছাড়া গত ৫ বছরে পৌর এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেমে ছিল না।
অন্যদিকে বয়সে একেবারেই নবীন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. শাহিন। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী তিনি। সমর্থকরা জানান, পৌর এলাকায় একসময় বিএনপির ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। কিন্তু নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত সাবেক মেয়রকে মনোনয়ন না দিয়ে নবীন একজনকে সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে দুই গ্রুপে বিভক্ত পৌর বিএনপি। জড়িয়ে পড়েছে পাল্টা অভিযোগ ও মামলা মোকাদ্দমায়। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জানান, নির্বাচনকালীন সময়ে দলের এমন অবস্থা দেখে হতাশ সাধারণ ভোটাররা। অপরদিকে জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী এ টি এম শহিদুল ইসলামও বয়সে নবীন। ভোট পেতে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন তিনি। সংশ্লিষ্টরা জানান, পুরোনোরা অতীতে এলাকায় যা উন্নয়ন করেছেন তার ফিরিস্তি তুলে ধরছেন। নতুনরা পুরোনোদের ভুল ভ্রান্তি তুলে ধরছেন। সঙ্গে নির্বাচনী ওয়াদা তো রয়েছেই। এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী বেশি হওয়ায় পৌরসভার তিন ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণায় বেগ পেতে হচ্ছে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদের। নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডের প্রার্থীরা হলেন সাকেরা বেগম (আনারস), রোকেয়া খানম কেয়া (চশমা) ও শ্যামলী বিশ্বাস (জবা ফুল)। ২নং ওয়ার্ডের প্রার্থীরা হলেন জোসনা বেগম (আনারস) ও মরিয়ম বেগম (জবা ফুল)। ৩নং ওয়ার্ডের প্রার্থীরা হলেন মাজেদা বেগম (চশমা), জাহানারা বেগম (আনারস), রোজিনা আক্তার (অটোরিঙা) ও মোছাম্মৎ সুমনা আক্তার (জবা ফুল)।