লামায় পানি নিস্কাশনের পাইপে ডুকে কোয়ান্টাম স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ তুলে গতকাল বুধবার লামা থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহত শিক্ষার্থী শ্রেয় মোস্তাফিজের চাচা জাকির মোস্তাফিজ। মামলায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি কোয়ান্টাম কসমো স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং স্কুলের আবাসিকের তত্ত্বাবধায়কগণকে আসামি করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, উপজেলার সরই ইউনিয়নে অবস্থিত কোয়ান্টাম স্কুল এন্ড কলেজের ৬০-৭০ জন ছাত্র স্কুলের পার্শ্ববর্তী খোলা জায়গায় সোমবার সকালে প্রবল বর্ষণের মধ্যে বৃষ্টির পানিতে খেলছিলো। স্কুল কর্তপক্ষ সব ছাত্রদের খেলা থেকে তুলে দিলেও সেখানে থেকে যায় ৫ জন শিক্ষার্থী। নিহত দুই শিক্ষার্থীর সাথে ওই সময় বৃষ্টির পানিতে খেলতে থাকা সাব্বির হোসেন, আরিয়ান ও ইসমাইল জানান, মাঠে জমে যাওয়া পানি অপসারনের পাইপের মুখ বিভিন্ন আবর্জনায় বন্ধ হয়ে যায়। এ কারনে মাঠে বৃষ্টির পানি জমে যায়। একজন মাঠকর্মী পাইপের মুখ খুলে দিয়ে অপর প্রান্তের পানির অবস্থা দেখতে যায়। এসময় নিহত আব্দুল কাদের পানিতে নামলে প্রবল স্রোতে পানির সাথে পাইপের মধ্যে ডুকে যায়। তার চিৎকারে শ্রেয় মোস্তাফিজ এগিয়ে এসে তার হাত ধরলে সেও পাইপের মধ্যে ডুকে যায়। পরবর্তীতের তাদেরকে মৃত উদ্ধার করা হয়।
মামলার বাদী জানান, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ, কোয়ান্টাম কসমো স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং স্কুলটির আবাসিকের তত্ত্বাবধায়কগণের শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অবহেলা ও দায়িত্বে গাফিলতির কারনে এ নির্মম ঘটনা ঘটেছে। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার মাসুদ পারভেজ জানান, শিক্ষার্থীদের বার বার পানি থেকে তুলে দেয়ার পরও কয়েকজন শিক্ষার্থী কৌশলে সেখানে থেকে যায়। স্কুলের পাশে খোলা জায়গায় জমে থাকা পানিতে খেলতে গিয়ে পানি নির্গমনের পাইপে ঢুকে গিয়ে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। ওই সময় তাদেরকে উদ্ধারের চেষ্টা করতে গিয়ে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের একজন মাঠ কর্মীও আহত হয়। সংশ্লিষ্টদের কোন ধরনের দায়িত্ব অবহেলা ছিলোনা বলেও তিনি জানান। লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।