লামায় কৃষকের কলাগাছ খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে বন্যহাতি

লামা প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৭ আগস্ট, ২০২৪ at ৬:০৭ অপরাহ্ণ

বান্দরবানের লামায় ফাইতং ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড হরিণ খাইয়্যাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বন্যহাতির দল প্রায়ই হানা দিচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন সোমবার (২৭ আগস্ট) রাতে কলা গাছ, জুমের ধান ক্ষেত ও চলতি আমন ধান খেতে তাণ্ডব চালিয়েছে বন্যহাতির একটি পাল। গ্রামবাসীরা জানান তারা জানমাল রক্ষায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

অন্যদিকে, বন্যহাতি ও ফসল রক্ষায় তৎপরতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজলা বন বিভাগের কর্মকর্তারা। স্থানীয় কৃষকরা বলেন, কয়েকটির বন্যহাতির পাল খাবারের সন্ধানে উঠতি আমন ধানক্ষেতে হানা দিচ্ছে। এ সময় হাতির দল আমন ধান ক্ষেতের থোরধান খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে।

তাই চলতি আমন ফসল রক্ষায় কৃষকরা রাতে মশাল জ্বালিয়ে, ঢাকঢোল বাজিয়ে, টিন পিটিয়ে ও হই-হুল্লোড় করে ধানক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন।

কলা বাগানের এক কৃষক মো. ওমর ফারুক বলেন, দিনের বেলায় বন্যহাতির পাল গহীন অরণ্যে লুকিয়ে থাকে। আর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই খাদ্যের সন্ধানে বাড়িঘর ও ফসলের মাঠে তাণ্ডব চালায়।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, প্রতিবছর বন্যহাতির পাল খাবারের খোঁজে লোকালয়ে এসে ফসল নষ্টের পাশাপাশি প্রাণহানি ঘটাচ্ছে। এই হাতিগুলো তাড়ানোর জন্য স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি। ফলে পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ ও কৃষকরা হাতির ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটান। এর একটি স্থায়ী সমাধান হওয়া দরকার।

লামা ফরেস্ট রেঞ্জ ফাইতংয়ের বিট কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন খাঁন বলেন, বন্যহাতির পাল দিনে উপজেলার পাহাড়ি এলাকার গভীর জঙ্গলে অবস্থান করে। আর সন্ধ্যা হলেই খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে। আমরা বন্যহাতি ও ফসল রক্ষায় তৎপর রয়েছে আমাদের টিম। তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বন বিভাগের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করে সরকারিভাবে ফসলের ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন পাবে। তাই তিনি বন্যহাতিকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএক সপ্তাহ বন্ধের পর শুরু হচ্ছে কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল
পরবর্তী নিবন্ধখুলশীতে ট্রাফিক পুলিশকে মারধর, ছাত্রদের হাতে গাড়িসহ চালক আটক