ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার শরিফে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) ও হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)-এর ৩৪ তম ওরশ শরিফ গাউসিয়া হক মনজিলে গত মঙ্গলবার সম্পন্ন হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন মনজিলের সাজ্জাদানশিন হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)। তিনি বলেন, মহান ২৬ আশ্বিন ওরশ শরিফের ৮ দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রধান দিবস। এবারের নতুন গুরুত্ব নিয়ে এসেছে যে মাহে রবিউল আউয়াল একই সাথে আমরা উদযাপন করতে পারছি ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) এবং পহেলা রবিউল আউয়াল শাহানশাহের চান্দ্রবার্ষিকী ওরশ মোবারক। ১৯ রবিউল আউয়াল অছিয়ে গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র চান্দ্রবার্ষিকী ওরশ মোবারক, ২১ আশ্বিন উম্মুল আশেকীন মা মুনাওয়ারা বেগমের ওফাতবার্ষিকী। সব কিছু মিলেয়ে অত্যন্ত বরকতময় কিছু সময় আমরা অতিবাহিত করছি। তার জন্য আল্লাহ রব্বুল আলামীনের দরবারে শুকরিয়া।
আখেরী মোনাজাত করেন সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)। ওরশের দিন ফজরের নামাজের পরে শাহসুফি সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র রওজা শরীফে মিলাদ কিয়াম, দরুদ শরিফ, গোসল শরিফ, গিলাফ চড়ানো, আতর ছিটানো, পুষ্পমাল্য অর্পণের পর মাইজভাণ্ডারীয়া ত্বরিকার প্রবর্তক সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.), সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভাণ্ডারী (ক.), সৈয়দ দেলাওয়ার হোসাইন মাইজভাণ্ডারী (ক.), সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র মাজার জেয়ারত করেন। এছাড়া সকাল ৮ টা হতে জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র মাজারে কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, বিভিন্ন ক্যাম্পে জিকরে ছেমা মাহফিলসহ আগত ভক্ত জায়েরীনগণ ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকেন। ওরশের দিন রাত ১০ টায় গাউসিয়া হক মনজিলের শান্তিকুঞ্জ মাঠে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল জিকরে ছেমা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলের শুরুতে মাওলানা মোহাম্মদ মুজিবুক হক ‘বেলায়ত নবুয়ত’ নিয়ে আলোচনা করেন। মাওলানা হাফেজ আবুল কালাম ‘নারী সুফিদের জীবন কথা : প্রেক্ষিত উম্মুল আশেকীন মা মুনাওয়ারা বেগম (র.)’ জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন। চবি আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাওলানা মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ ‘আলেম বিল্লাহ অ বে আমরিল্লাহর পরিচয়’ নিয়ে আলোচনা করেন। চরণদ্বীপ দরবারের শাহজাদা মাওলানা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ফারুকী ‘বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক মদিনা সনদের প্রয়োগ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা করেন মাওলানা সৈয়দ আহমদুল হক মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা মিনহাজ উদ্দীন। মাহফিলে মিলাদ ও কিয়াম করেন জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র রওজা শরীফের সাবেক খাদেম মাওলানা এস এম এম সেলিম উল্লাহ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।