কর্ণফুলী নদীতে অভিযান চালিয়ে তেল চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় দুটি জাহাজকেও জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ লিটার অপরিশোধিত চোরাই ভোজ্যতেল। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত এসব তেল খালাসকালে কৌশলে চুরি করা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নৌ পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় ৫ সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। গতকাল রোবাবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করে। সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রামের একটি বড় কোম্পানি বিদেশ থেকে অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানি করে। বহির্নোঙরে বার্থিং নেয়া জাহাজ থেকে এসব তেল খালাস করে উপকূলে আনা হচ্ছিল। লাইটারেজ জাহাজে তেল আনার সময় সংঘবদ্ধ চক্রটি সুকৌশলে অপর জাহাজে অবৈধভাবে তেল খালাস করে দিচ্ছিল।
তিনি জানান, খবর পেয়ে তার নেতৃত্বে নৌ পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় এমভি ওশান ভিউ নামের জাহাজ থেকে ১২শ লিটার চোরাই তেলসহ দুজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ওটি বুলবুল নামের অয়েল ট্যাংকার থেকে তেল চুরি করে এই জাহাজে দেয়া হয়েছে। পুলিশ ওটি বুলবুল নামের জাহাজটিকেও জব্দ করে। এই জাহাজ থেকে দুজনকে আটক করা হয়। এ সময় ৫ জন পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর মোস্তফা মোন্নার পুত্র মোহাম্মদ রায়হান, খুলনার দিঘলিয়ার মৃত সোহরাব হোসেনের পুত্র বুলবুল আহম্মদ, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির নবাব আলীর পুত্র মোহাম্মদ আব্দুল হক ও ফেনীর ছাগলনাইয়ার মৃত মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনের পুত্র ওহিদুর নবী। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।