লস্কর পরিবারকে এক মাসের মধ্যে দিতে হবে ১২শ কোটি টাকা

চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ টাকার অর্থঋণ মামলা ।। কানাডা থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক উদ্যোগের নির্দেশ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৯ অক্টোবর, ২০২৩ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

খেলাপি হওয়া ১২শ কোটি টাকা এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মো. আতিয়ুর রহমান লস্কর ও তার স্ত্রী, সন্তানকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এবি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার করা অর্থঋণ মামলায় ডিক্রি প্রদানের মাধ্যমে এই র্নিদেশ দিয়েছেন। আদেশে এই ব্যবসায়ী পরিবারকে কানাডা থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আদেশের কপি বাংলাদেশ ব্যাংক ও এবি ব্যাংক লিমিটেড বরাবর প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম আজাদীকে বলেন, কানাডায় থেকে আমমোক্তারের মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করতে চেয়েছে লস্কর পরিবার। এ সংক্রান্ত একটি আবেদন করা হয়েছে। আদালত সেটি নাকচ করে দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, আমমোক্তার নিয়োগের সপক্ষে বিবাদীরা কোনো ন্যায়সংগত কারণ উল্লেখ করেননি। দুরারোগ্য শারীরিক অসুস্থতা কিংবা অন্য কারণে আদালতে উপস্থিত হতে না পারার মতো কোনো যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেননি।

আদালতসূত্র জানায়, কোনো রকম ব্যাংকিং নিয়ম কানুন না মেনে লস্কর পরিবারকে ১২০০ কোটি টাকার এই ঋণ বিতরণ করে এবি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা। এর ফলে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে পুরো টাকাই। বিপুল পরিমাণ এই ঋণ আদায়ে যথাসময়ে মামলাও দায়ের করেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। গ্রহণ করা হয়নি ঋণের বিপরীতে সহায়ক জামানতও। ঋণ বিতরণ থেকে শুরু করে মামলা দায়ের পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ার পরতে পরতে গাফিলতি পরিলক্ষিত হয়েছে আদালতের কাছে। এটি চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতে থাকা মামলাগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের মামলা। আদালতসূত্র আরো জানায়, ২০১৭ সালে প্রথমে ৭৩০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। পরের বছর তা খেলাপিতে পরিণত হয়। একটি টাকাও বিবাদীরা পরিশোধ করেননি। এমন অবস্থার পরও ২০১৯ সালে ফের বিবাদীদের ২৫৫ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা হয়। সব মিলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১২০০ কোটি টাকা। বিপুল পরিমাণ এই ঋণ আদায়ে গত ১৮ জুন ঋণ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এতে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, সীতাকুণ্ডের এআরএল শিপব্রেকিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতিয়ুর রহমান লস্কর, তার স্ত্রী সামসুন নাহার লস্কর এবং তাদের ছেলে মাহিন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশিকুর রহমান লস্কর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদক্ষিণ চট্টগ্রামের সড়কে আজ দুই ঘণ্টা বাস চলবে না
পরবর্তী নিবন্ধসামাজিক অস্থিরতাই কি দায়ী?