শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেছেন, লবণ শিল্পকে বাঁচাতে চাষি, ব্যবসায়ী এবং মিল মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, এই শিল্পে কয়েক ধরনের সমস্যা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ের ছোট সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা হবে। উপদেষ্টা আরো বলেন, পলিসি লেভেলের সমস্যাগুলো মন্ত্রণালয়ে বসে ঠিক করতে হবে এবং আর কিছু সমস্যা রয়েছে যেগুলো নির্বাচিত সরকারকে ঠিক করতে হবে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গতকাল শুক্রবার লবণ শিল্পের অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. সালাহউদ্দিননের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, কক্সবাজার চেম্বারের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা, পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইয়ামিন হোসেনসহ শিল্প মন্ত্রণালয়, বিসিক ও লবণ চাষি–মিল মালিক সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ। কক্সবাজার লবণ চাষি এবং ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া বলেন, কক্সবাজারে মাঠ পর্যায়ে এক কেজি লবণ উৎপাদন করতে খরচ হয় ১৫ টাকা অথচ এ লবণ বিক্রি হচ্ছে ৮টাকারও কমে। ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় দিন দিন লবণ উৎপাদন কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, চাষিদের জিম্মি করে লবণের দাম নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা লবণ চাষি ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম হতাশা তৈরি হয়েছে। অথচ এ স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্ষেত্র থেকে সরকার প্রায় ৫’শ কোটি টাকার বৈদেশিক মূদ্রা সাশ্রয় করে। সুতরাং লবণ চাষিদের বাঁচান। কারণ চাষি বাঁচলে লবণ শিল্প বাচবে। খোকন মিয়া আরও বলেন, লবণ মাঠে আগে ঢেকি কল দিয়ে পানি উঠালেও এখন ডিজেল দিয়ে মেশিনের মাধ্যমে উঠাতে হয়। এ ছাড়া পলিথিনের দামও বেড়ে গেছে। সবকিছু মিলিয়ে লবণ উৎপাদন খরচ আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। সভায় লবণ চাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি শাহাব উদ্দিন বলেন, ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় মাঠ ছেড়ে চাষিরা উঠে যাচ্ছে। মিল মালিকরা হঠাৎ করে দাম কমিয়ে দেওয়ার কারণে চাষিরা সমস্যায় পড়ে যায়। সুতরাং লবণ চাষিদের কষ্ট সকলকে বুঝতে হবে। পরে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত কক্সবাজারের চার শহিদ পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।