করোনা সংক্রমণের কারণে সীতাকুণ্ডসহ দেশের সব বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকার কথা থাকলেও ঘরে বসে নেই মানুষ। এদিকে চলছে কঠোর লকডাউন। জনসমাগম এড়াতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হলেও তা উপেক্ষা করে উপজেলার আকিলপুর ও বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে ছিল মানুষের ভিড়। সৈকতে আসা নানা বয়সের লোক সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতই। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দলবেঁধে সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন তারা। আগত দর্শনার্থীরা অনেকে সেলফি তুলছেন, আবার কেউ বা পাথরের উপর বসে গল্প করছেন। এতে এসব জায়গায় ঘুরতে আসা লোকজনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই ছিল না। প্রশাসনের নজরদারি না থাকার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানতে নারাজ সৈকতে আসা লোকজন। সৈকতে বেড়াতে আসা নাজনীন আক্তার বলেন, তিনি চাকরির সুবাদে কুমিল্লা থাকেন। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসেছেন। পরিবারের সদস্যদের একসঙ্গে নিয়ে বেড়ানো হয়ে উঠে না। তাই তিনি বেড়াতে এসেছেন সৈকতে। স্ত্রী আর সন্তানদের নিয়ে আকিলপুর সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে এসেছিলেন মো. আমির হোসেন। তিনি বলেন, করোনার কারণে অনেকদিন পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। লকডাউনের কারণে অফিস বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে সৈকতে একটু বেড়াতে বের হয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলার মানুষকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যেতে অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করা হয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিন থেকে মহাসড়কের সর্বত্র কঠোর নজরদারি ছিল। কিন্তু কিছু উদাসীন লোকজন লকডাউন উপেক্ষা করে সৈকতে ভিড় জমানোর চেষ্টা করেছেন। ইতোমধ্যে লকডাউন চলাকালে সৈকতে ভিড় করায় বিজিবি পাঠিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করা হয়েছিল। সমুদ্র সৈকতে লোক সমাগম এড়াতে আজ থেকে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করা হবে।