লকডাউনে এবার তপুর ‘ফ্রি মুদির দোকান’

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৯ এপ্রিল, ২০২১ at ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ

ফ্রি মুদির দোকান! কথাটা শুনলে যে কারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে এটা আবার কেমন দোকান! করোনাকালীন লকডাউনের এই সময়ে ঘরবন্দী মানুষের জন্য যদি নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ৪১টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফ্রি মুদির দোকান থাকতো-গরিব-অসহায় মানুষের কতই না উপকারে আসতো! কিন্তু এমন মানবিক মানুষ কঠিন বাস্তবতার এই সময়ে কোথায় পাওয়া যাবে! তবে এই কঠিন সময়ে ৪১ ওয়ার্ডে না হলেও তোসাদ্দেক নূর চৌধুরী তপু নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সীমিত পরিসরে নগরীতে চালু করেছেন ‘ফ্রি মুদির দোকান’। প্রথম রোজা থেকে তোসাদ্দেক নূর চৌধুরী তপুর উদ্যোগে নগরীর পাঁচলাইশ থানার মোহাম্মদপুর-খতিবের হাটসহ আশপাশের এলাকায় শ্রমজীবী মানুষের জন্য চালু হয়েছে ‘বিনামূল্যে মুদির দোকান’। গত বছর করোনার কঠিন প্রকোপের ওই সময়ে মানবিক এই যোদ্ধা গরিব অসহায়-শ্রমজীবী মানুষের জন্য নগরীতে চালু করেছিলেন ‘বিনামূল্যে সবজি বাজার’। এবার চালু করলেন ‘বিনামূল্যে মুদির দোকান’।
কি নেই ছাত্রনেতা তপুর বিনামূল্যের ভ্রাম্যমাণ মুদির দোকানে! চাল, ডাল, তেল (সয়াবিন তেল, সরিষার তেল), লবণ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, আলু, ছোলা, চিড়া, আটা, ময়দা, বিস্কুট, চানাচুর, খাবার স্যালাইন, জুস, পাউডার ড্রিংক, মিনারেল ওয়াটার, চা পাতা-সুজি-নুডলস্‌ থেকে একটি পরিবারের সব প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য রয়েছে। একজন ব্যক্তি সব মিলে ৫ কেজি পণ্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিতে পারবেন তপুর ফ্রি মুদির দোকান থেকে। এই দোকান থেকে প্রতিদিন গরিব-অসহায় মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংগ্রহ করছেন তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী।
বিনামূল্যে এই মুদির দোকান প্রতিদিন একেক ওয়ার্ডের বিভিন্ন মোড়ে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে গরিব মানুষের মাঝে ফ্রি নিত্যপণ্য সামগ্রী দিয়ে যাচ্ছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় এসব পণ্য পেয়ে সাধারণ মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এবার এমন বিষয় মাথায় আসলো কেন জানতে চাইলে মানবিক যোদ্ধা সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা তোসাদ্দেক নূর চৌধুরী তপু আজাদীকে জানান, গত বছরের এমন দিনে করোনা মহামারীর সময়ে সারাদেশে সরকার যখন ধাপে ধাপে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল তখন আমি পুরো চট্টগ্রাম জুড়ে ফ্রি সবজি বাজার চালু করেছিলাম। পুরো নগরীতে মাসের পর মাস ফ্রি সবজি বাজার চালু ছিল। এই বছর আমি খবর নিয়ে জানলাম মানুষ ভীষণ কষ্টে আছে। কাউকে কিছু মুখ খুলে বলতে পারছেন না। তাই আমি একটু ব্যতিক্রম কিছু চিন্তা করলাম। মানুষের প্রতিদিনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসমূহ সম্পূর্ণ মানুষের দৌর গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য এবার ‘ফ্রি মুদির দোকান’ এর উদ্যোগ নিলাম। প্রথম রোজ থেকে নগরীতে আমরা মোহাম্মদপুর-খতিবের হাট, বহদ্দারহাট দিয়ে শুরু করেছি। শনিবার চেরাগী পাহাড়, আজাদীর সামনে, জামালখান, চকবাজার এবং রবিবার (গতকাল) ৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডের ওয়াপদা কলোনি, ফরিদার পাড়াসহ আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনা প্রতিরোধে দৃষ্টির সচেতনতামূলক কর্মসূচি
পরবর্তী নিবন্ধহালিশহরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের মাস্ক বিতরণ