চট্টগ্রাম আদালতের মূল ফটকে পুলিশের তল্লাশি চৌকির সামনে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার দ্রুত শেষ হচ্ছে না। অথচ খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এ মামলাটির বিচার কার্যক্রম শেষ করতে চেয়েছিল রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আরিফুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, ইতিমধ্যে আমরা সাক্ষ্যগ্রহণ, আত্মপক্ষ সমর্থন করে সাক্ষ্য ও সাফাই সাক্ষ্য কার্যক্রমের মতো গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলো শেষ করেছি। মঙ্গলবার(আজ) যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিনও ধার্য ছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে তা আর হচ্ছে না।
যুক্তিতর্ক শেষ করতে পারলেই মামলাটি রায়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে যেতো উল্লেখ করে খন্দকার আরিফুল ইসলাম বলেন, করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, লকডাউন অবস্থা কতোদিন থাকছে, সেসবের উপর নির্ভর করছে মামলাটির ভবিষ্যৎ। তবে লকডাউন উঠে যাওয়ার পরপরই মামলাটির যুক্তিতর্ক কার্যক্রম শেষ করবো আমরা। আদালত সূত্র জানায়, এ মামলায় গত ৯ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ৭৭ সাক্ষীর মধ্যে মোট ৩২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ১৮ মে জাবেদ ইকবালসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হলে বিচারক চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এর মধ্যে অন্য একটি মামলায় আবদুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান নামের তিন আসামির ফাঁসির আদেশ হওয়ায় তাদের এ মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়। অপর দুই আসামির মধ্যে জাবেদ ইকবাল চট্টগ্রাম কারাগারে এবং অপরজন জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান পলাতক।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে হাজিরা দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহের আদালতে নেওয়ার পথে ত্রিশাল এলাকায় প্রিজন ভ্যানে গুলি ও বোমা ছুঁড়ে তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওই তিনজনের একজন হলেন জাবেদ ইকবাল ওরফে বোমারু মিজান।
উল্লেখ্য ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের মূল ফটকে পুলিশের তল্লাশি চৌকির সামনে বোমা হামলা চালায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্যরা। বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তল্লাশি চৌকিতে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও বিচারপ্রার্থী মো. শাহাবুদ্দীন। আহত হন পুলিশ কনস্টেবল আবু রায়হান, সামসুল কবির, রফিকুল ইসলাম, আবদুল মজিদসহ ১০ জন।