রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো ক্রমান্বয়ে বড় বড় অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হচ্ছে। একের পর এক বড় বড় ইয়াবা, স্বর্ণ ও নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। ১৯ জুন রাতেও উখিয়ার কুতুপালং-৫ নং ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গার ঘর থেকে মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণের বাংলাদেশী ও মিয়ানমারের মুদ্রা ও স্বর্ণ। এসময় স্বামী ও স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪, আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়ান – এপিবিএন অধিনায়ক এসপি মোঃ নাঈমুল হক অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন সদস্যরা কুতুপালং মেগা – ৫ নং ক্যাম্পে এ অভিযানে বিপুল পরিমাণ নগদ মুদ্রা, স্বর্ণ উদ্ধার করে। তিনি জানান, ওই ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মোহাম্মদ আইয়ুবের বসতঘরের মাটি খুঁড়ে বাংলাদেশী নগদ ২৬ লাখ ৩ হাজার ১শ ২০ টাকা, মিয়ানমারের মুদ্রা ৩১লাখ ৭৪ হাজার ৮শ কিয়াত, ৩টি স্বর্ণের বারসহ ৭০ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় গৃহকর্তা মোঃ ইসলামের পুত্র মোঃ আইয়ুব (৩৫) ও তার স্ত্রী নুরুন্নেছা (৩০) কে গ্রেপ্তার করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৪ এপিবিএন পুলিশের দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার এ,কে,এম এমরানুল হক মারুফ (সহকারী ক্যাম্প কমান্ডার) পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জালাল উদ্দিন, এসআই মোঃ আরিফুর রহমান গোপন খবরের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে স্বর্ণের বার-৩টি, স্বর্ণের আংটি-১৯টি, কানের দুল ২ জোড়া, ছোট টিকলি ২টি, ব্রেসলেট ১টি, চেইন ৪টি, চুলের ক্লিপ ২টি, চুড়ি ৮টি, নাক ফুল ১টি, গলার নেকলেস ১টিসহ মোট ৭০ভরি স্বর্ণালংকার, বাংলাদেশী নগদ ২৬লাখ ৩হাজার ১শ ২০টাকা, মিয়ানমারের মুদ্রা ৩১লাখ ৭৪হাজার ৮শ কিয়াত রয়েছে।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ১৪ এপিবিএন পুলিশ সুপার। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোরশেদ।