বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় সরকারকে প্রায় ২০ কোটি ডলার অনুদান দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার দেবে দেশটির উন্নয়ন সংস্থা ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)। আর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে মিলবে প্রায় ৭০ মিলিয়ন ডলার। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এই ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। খবর বিডিনিউজের।
বাসস জানিয়েছে, মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখে পড়া ৬ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গার জরুরি প্রয়োজন মেটাতে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ২৫০ কোটি ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া হয় ২১০ কোটি ডলার রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় হয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা ঢলের শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট। এরপর কয়েক মাসের মধ্যে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কঙবাজারের উখিয়া–টেকনাফে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে ওই এলাকার ক্যাম্পে বসবাস করছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।
বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর থেকে কঙবাজার ও উখিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাঁশ আর প্লাস্টিকের খুপড়ি ঘরে বসবাস শুরু করে রোহিঙ্গারা। উখিয়ার কুতুপালং পরিণত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে।