বাংলাদেশে অবস্থানরত লাখ লাখ রোহিঙ্গার দিকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ফেরাতে কক্সবাজারে শুরু হচ্ছে তিন দিনের সম্মেলন। আগামী রোববার এই সম্মেলন উদ্বোধন হবে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিরা সেখানে রোহিঙ্গাদের কথা শুনবেন। নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরবেন জাতিগত নিধনের শিকার মিয়ানমারের রাখাইনের এ জনগোষ্ঠী। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার সম্মেলনে যোগ দিয়ে ভাষণ দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। সমাপনী দিনেও রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিভিন্ন সেশনে অংশ নেবেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজারের সম্মেলনের বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুটা খুব সিরিয়াসলি দেখছেন। অনেক দেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে আমরা আলাপ আলোচনা করছি। রোহিঙ্গা সংকটটা যেন আন্তর্জাতিকভাবে একটা প্রধান আলোচনার বিষয় হয়, সেজন্য তিন–তিনটা বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার পরিকল্পনা নিয়েছি। এর অংশ হিসেবে ২৪ আগস্ট রোববার কঙবাজারে শুরু হবে তিনদিনব্যাপী সম্মেলন।
শফিকুল আলম বলেন, সম্মেলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি, রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের বিচার ও রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের উপায় বের করা। সম্মেলনের প্রধান বিষয় হচ্ছে রোহিঙ্গারা যে গণহত্যার মুখোমুখি হয়েছে, সেটা আন্তর্জাতিক মহলে গিয়ে তাদের বলতে পারাটা বেশ কষ্টকর। সেজন্য কঙবাজারে ৪০টির মত দেশের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। তাদের সামনে রোহিঙ্গারা তাদের কষ্টের কথা তুলে ধরবেন। জাতিসংঘের অনেক সংস্থা, বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকবেন। তাদের কাছে রোহিঙ্গারা তাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরতে পারবেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, মিয়ানমারে জাতিসংঘের স্পেশাল রেপোর্টিয়ার থমাস এনড্রোস, রোহিঙ্গা বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ এমপি ইমরান, জাতিসংঘে মালয়েশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ঢাকার অন্তত ১০ জন রাষ্ট্রদূত সম্মেলনে থাকবেন।
প্রেস সচিব বলেন, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে সবচেয়ে বড় সম্মেলনটি হবে। সেখানে ১৭০টা দেশ অংশ নেবে বলে আশা করছি। এরপর কাতারের রাজধানী দোহায় আরেকটা সম্মেলনের আশা করছি।