যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে আরো প্রায় ১৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। এই অর্থের বেশিরভাগ ২০২১ বাংলাদেশ জয়েন্ট রেসপন্স প্লান (জেআরপি) বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে।
গতকাল বুধবার জেনেভায় জেআরপি উদ্বোধনকালে যুক্তরাষ্ট্র এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়। নতুন এ অর্থ সহায়তায় ফলে ২০১৭ সালের পর থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কর্মসূচির জন্য ১.১ বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলারসহ যুক্তরাষ্ট্রের মোট মানবিক সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াল ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। খবর বাসসের।
যুক্তরাষ্ট্রে সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন এক পৃথক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের এ সহায়তা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ভয়াবহ সহিংসতার কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা নারী ও শিশুসহ শরণার্থীদের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে সহায়ক হবে।’ খবর বাসসের।
এই তহবিল রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ৪ লাখ ৭২ হাজারের বেশি বাংলাদেশীদের জন্যও সহায়ক হবে যারা এই পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ব্লিঙ্কেন আরো বলেন, এই নতুন তহবিলসহ ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী কর্তৃক বর্বরোচিত সহিংসতার পর থেকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও এ অঞ্চলের অন্যান্য স্থানে সংকটাপন্ন মানুষের জন্য আমাদের সহায়তার পরিমাণ ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। এর মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা এক্ষেত্রে আরো বেশি কিছু করার জন্য আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের প্রতি এবং অন্যান্য দেশ ও অংশীজনদের প্রতি আর্থিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি।
ব্লিঙ্কেন বলেন, মিয়ানমারে ১ ফেব্রুয়ারির সেনা-অভ্যুত্থান এবং সামরিক দমন অভিযানের পরে ‘যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অঙ্গীকার ব্যক্ত করার পাশাপাশি মনে করছে যে, অভ্যুত্থানের নেতারা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতাসহ পূর্বে মানবাধিকার লংঘন করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অনুরূপ।
তিনি বলেন, এই অভ্যুত্থান ও মানবাধিকার লংঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার ও জবাবদিহিতার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ করে যাব।
ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শান্তি ও নিরাপত্তা জোরদারের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ এবং রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের সকল নাগরিকের মানবাধিকার ও মানবিক মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
যুক্তরাষ্ট্র বিবৃতিতে জানায়, ভাসানচরে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যকার আলোচনাকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায় এবং ঘনিষ্ঠ আলোচনা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়ে যাবে।