উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সশস্ত্র বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলায় এক শিশুসহ চার রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ১৫-২০ জনের মুখোশধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসী উখিয়ার বালুখালী ৮-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫৪ ব্লকে এ হামলা চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আহতরা হচ্ছেন, উখিয়ার ৮-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫৪ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ সালাম (৩২), একই ব্লকের আব্দুল খালেকের ছেলে মোহাম্মদ শফি (৬৩), বি-৫০ ব্লকের বাসিন্দা আব্দুস সামাদের ছেলে মোহাম্মদ শরীফ (৫৫) ও বি-৫৫ ব্লকের ইমাম হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ নাসের (১০)। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের মধ্যে মোহাম্মদ সালামের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে উখিয়ার টিভি টাওয়ার ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের খেলার মাঠ দিয়ে খাল পেরিয়ে কালো মুখোশ পরিহিত ১৫-২০ জনের একদল দুর্বৃত্ত ৮ নম্বর ক্যাম্পে প্রবেশ করে। পথিমধ্যে বি-৫৪ ব্লকে দোকানে আড্ডারত রোহিঙ্গাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের ছোঁড়া গুলিতে এক শিশুসহ চার রোহিঙ্গা আহত হন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশে বসবাসকারী স্থানীয় লোকজন ও সাধারণ রোহিঙ্গারা জানান, এতদিন সন্ত্রাসীরা গভীর রাতে প্রতিপক্ষকে টার্গেট করে হামলা চালাত। কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে দিবালোকে মুখোশধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা একাধিক ক্যাম্পে মহড়া দেয়। পথিমধ্যে নিরীহ রোহিঙ্গাদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। তারা জানান, যে সময় হামলা চালানো হয়েছে সে সময় ক্যাম্পগুলোতে বিভিন্ন সেবা সংস্থার কর্মীরা ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।
তাছাড়াও ক্যাম্পগুলোর প্রতিটি মোড়ে ও বিভিন্ন পয়েন্টে আর্মড পুলিশ দায়িত্বরত ছিলেন। এ অবস্থায় কি করে এতগুলো সশস্ত্র মুখোশধারী সন্ত্রাসী প্রকাশ্য দিবালোকে একাধিক ক্যাম্পে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় উদ্বিগ্ন সাধারণ রোহিঙ্গারা।
৮ এপিবিএন এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যমতে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে বহিরাগত দুষ্কৃতকারীরা এ হামলা চালিয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।