কক্সবাজার–টেকনাফ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা। এতে করে ১০ ঘণ্টা ধরে শতশত যানবাহন আটকা পড়ে এই সড়কে। যার কারণে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। পরে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপে এই অবরোধ তুলে নেয়া হয়। গতকাল সোমবার সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টার পর্যন্ত কক্সবাজার–টেকনাফ সড়কের কোটবাজার এলাকায় এ বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও পরিচালিত শিক্ষা প্রকল্প থেকে ১ হাজার ২৫০ শিক্ষককে ছাঁটাই করা হয়। এর মধ্যে ১ জুন চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। সে সময় চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা। আড়াই মাস পার হলেও চাকরি ফিরে না পাওয়ায় আবারো সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল সকাল ৭টা থেকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা উখিয়ার প্রাণকেন্দ্র কোটবাজার এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে দুপাশের সবধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেন। একই সাথে তারা সেখানে বিভিন্ন প্রতিবাদী শ্লোগান ও বক্তব্য দেন। এ অবরোধ চলে টানা ১০ ঘণ্টা। এ সময় যানবাহনে আটকে পড়ায় যাত্রীরা সীমাহীন ভোগান্তি ভোগ করেছেন। এক পর্যায়ে সন্ধ্যা নাগাদ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। তবে আজ কক্সবাজারের লিংকরোড এলাকায় সড়ক অবারোধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
অবরোধ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীরা বলেন, প্রকল্প সমাপ্তির কথা বলে স্থানীয় শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করা হলেও রোহিঙ্গা শিক্ষকদের এখনো বহাল রাখা হয়েছে। এটা স্থানীয়দের সাথে বৈষম্য ও ষড়যন্ত্র। তাই চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা কয়েক দফায় সড়ক অবরোধ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। সর্বশেষ ১ জুন করা এক মানববন্ধনে চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়া হলেও কথা রাখেনি সংশ্লিষ্টরা। তাই বাধ্য হয়ে আবার রাস্তায় নেমেছেন।
অবরোধে আটকে পড়া যাত্রী সিকদার হোসেন বলেন, সকাল থেকে এ পর্যন্ত কোট বাজারে ৯ ঘণ্টা ধরে আটক পড়ে আছি। শতশত গাড়ি সড়কের দুই পাশে আটকে পড়ছে। অনেকেই জরুরি কাজে যেতে পারছেন না। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বসে আছি। এখানে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হাসান চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা নিজেরাই সড়ক থেকে অবরোধ সরিয়ে নিয়েছেন। তবে তাদের সমস্যার বিষয় নিয়ে আলোচনা চলমান।