রোগী স্বল্পতায় বন্ধ হল মুক্তি আইসোলেশন সেন্টার

চিকিৎসক-নার্সদের সম্মাননা

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৪ অক্টোবর, ২০২০ at ১০:২০ পূর্বাহ্ণ

কোভিড-১৯ রোগীর স্বল্পতায় আওয়ামী লীগ মনোনিত চসিক মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত মুক্তি আইসোলেশন সেন্টারটি বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নগরীর বাকলিয়া তুলাতলি এলাকার ওয়েডিং পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে স্থাপিত আইসোলেশন সেন্টারটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল বলেন, সেন্টারে তেমন রোগী নেই। সরকারি হাসপাতালগুলোতেও রোগীর সংখ্যা কম। পাশাপাশি কমিউনিটি সেন্টারটির কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। আইসোলেশন সেন্টার বন্ধ করা হলেও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পটি চালু থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, নগরীর বহদ্দারহাটে বহদ্দার পুকুর পাড়ে তার বাড়ির এলাকায় ক্যাম্পটি চলবে।
সেন্টার প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রেজাউল মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে যারা সহযোগিতা করেছিলেন, তাদের ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২৭ জুন থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১৫ জন কোভিড-১৯ রোগী সেন্টারটিতে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। পাশাপাশি আউটডোরে সেবা দেওয়া হয় ১৭০ জন রোগীকে। ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসা, ওষুধ, অক্সিজেন, ইসিজি, সিটিজি ও খাবার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। আইসোলেশন সেন্টারের সমন্বয়ক ইফতেখার চৌধুরী, ইনচার্জ তন্ময় ধর, সুপারভাইজার নিশান দাশসহ কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মাননা জানান রেজাউল। সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, করোনাকালীন দুর্দিনে চিকিৎসক, নার্স, আয়া থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবাকর্মীরা রোগীদের সেবা দিয়েছেন। তারা মৃত্যু ঝুঁকি জেনেও রোগীদের পাশে এসে আর্ত মানবতার উদাহরণ তৈরি করেছেন। আর যারা সরাসরি রোগীদের সেবা না দিলেও নানান সাহায্য, সহযোগিতা ও উপদেশ দিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জীবন বাঁচাতে সহযোগিতা করেছেন তারাও করোনাযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত হবেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সামশুল আলম, ফয়জুল্লাহ বাহাদুর, আলী নেওয়াজ, আশরাফুল আলম, আজিজুর রহমান আজিজ, নুরুল আলম মিয়া, জেসমিন আকতার রুজি, মোনাফ হাজি প্রমুখ।
নগরীর বাকলিয়ার তুলাতলি এলাকার ওয়েডিং পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে গত ২৭ জুন ৭০ শয্যার ‘মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টার’ যাত্রা শুরু করেছিল। এর আগে রোগী না থাকার পাশাপাশি অনুদান কমে যাওয়ায় ৩১ আগস্ট সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটে ২১ এপ্রিল থেকে যাত্রা শুরু করা প্রথম ফিল্ড হাসপাতালটিও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর অর্থাভাব এবং স্থানাভাবে ১৫ সেপ্টেম্বর বন্ধ করা হয় হালিশহরের করোনা আইসোলেশন সেন্টার চট্টগ্রাম। ১৩ জুন নগরীর হালিশহর ওয়াপদা মোড়ের প্রিন্স অব চিটাগাং নামের কমিউনিটি সেন্টারে এটির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
এ নিয়ে নগরীতে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা তিনটি আইসোলেশন সেন্টার বন্ধ হলেও সরকারি ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসেস (বিআইটিআইডি) এ কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বেসরকারি হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল এবং রেলওয়ে হাসপাতালেও সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপটিয়ায় ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে তোড়জোড়
পরবর্তী নিবন্ধপাঁচলাইশে বিএনপির মাস্ক বিতরণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার অভিযোগ