রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাক্কলন, বাস্তবায়নের মেয়াদ ও ব্যয়ের হিসাবের মধ্যে তারতম্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গতকাল বুধবার সংসদ ভবনে সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে কমিটির বৈঠকে রেলের গত ও চলতি অর্থবছরের প্রকল্প এবং আগের বৈঠকের সুপারিশের বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনের নথি থেকে জানা গেছে, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের নিকট ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্রাক নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হয় ২০১০ সালের জুলাই মাসে। ২০১৬ সালের জুন মাসে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় বাড়িয়ে তা ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ধরা হয়েছে। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৮৫২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। পরে এটি বাড়িয়ে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ টাকা করা হয়েছে। ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর খুলনা থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়, যা ২০১৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরকম আরও বেশকিছু প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করে সংসদীয় কমিটি। খবর বিডিনিউজের।
পরে কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদ বলেন, প্রকল্পের যে প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়নের সময় ঠিক থাকে না। এটা হওয়া উচিত নয়। এর ফলে প্রকল্পের খরচ অনেক বেড়ে যায়; জনস্বার্থ বিঘ্নিত হয়। এ জন্য আমরা বলেছি প্রাক্কলনের চেয়ে বেশি খরচ করা যাবে না; প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো যাবে না।
বিষয়টি নজরদারির জন্য সংসদীয় কমিটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ (আইএমইডি) বিভাগের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তার নেতৃত্বে কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছে বলে তিনি জানান।
বৈঠকে ঢাকা থেকে মংলা পর্যন্ত রেললাইন তৈরির পরিকল্পনায় আন্ডার পাসগুলোতে ‘হাই কিউব কন্টেইনার’ পরিবহনের সুবিধা কেন রাখা হয়নি সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে কমিটিতে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত রেললাইন, সিট, সিগনাল ব্যবস্থা এবং প্লাটফর্মসহ রেলওয়েতে যাত্রীসেবার উন্নয়নের একটি সার্বিক প্রতিবেদন কমিটির কাছে জমা দিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।