রেলের জায়গায় হবে ১৫ তলার শপিং মল

থাকবে হোটেল, সিনেপ্লেক্স ও বিনোদনকেন্দ্র এপিকের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১২ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

রেলওয়ের জমিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) ১৫ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক শপিং মলসহ হোটেল, অফিস, সিনেপ্লেক্স, কনভেনশন সেন্টার, পারিবারিক বিনোদনকেন্দ্র ও অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডকে ৪০ বছর মেয়াদী এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চট্টগ্রাম স্টেশন রোড সংলগ্ন ফলমন্ডির কাছে রেলওয়ের শূন্য দশমিক ৪৫২ একর জমি লিজ দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আগামী ৯ মাসের মধ্যে কাজ শুরু করতে হবে। ৪ বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। সিডিএ-পরিবেশসহ অন্যান্য অন্যান্য দপ্তরের অনুমোদন নিয়ে কাজ শুরু করতে ৬ থেকে ৭ মাস লাগবে বলে জানান, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) আহসান জাবির। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের ভিত্তিতে এই প্রকল্প নির্মাণে গতকাল রেল ভবনে রেলওয়ে ও বেসরকারি অংশীদার এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। এতে রেলওয়ের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. আহসান জাবির এবং এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের পরিচালক আনোয়ার হোসেন।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) আহসান জাবির আজাদীকে বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ে জমিতে শপিং মলসহ হোটেল-কাম-গেস্ট হাউজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড-চট্টগ্রামের সাথে এই ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা ৪০ বছর। প্রকল্পের কাজ আগামী ৪ বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে। চট্টগ্রাম স্টেশন রোড সংলগ্ন রেলওয়ের পে এন্ড ক্যাশ অফিসের পূর্ব দিকে-ফলমন্ডির সাথে লাগানো রেলওয়ের শূন্য দশমিক ৪৫২ একর জমি ২০১৮ সালে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল। এতে এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড-চট্টগ্রাম এবং তাদের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বেস্টওয়ে প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড যোগ্য বিবেচিত হয়। নির্মাণকালসহ ৪০ বছর পর স্থাপনাটি রেলওয়ের শতভাগ মালিকানায় পরিচালিত হবে। বেসরকারি অংশীদার কমপ্রেঙ নির্মাণের পর ১ হাজার বর্গফুট জায়গা রেলওয়েকে হস্তান্তর করবে। জমির মালিকানা থাকবে রেলওয়ের অধীনে। চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী সুলতানা আফরোজ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তা ও স্বপ্নের ফসল আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধ২৭ মাস পরও চালু হয়নি ডাইনিং