একের পর এক ট্রেনের আসা-যাওয়াতে হাজার হাজার যাত্রীর ওঠা নামায় প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মুখর থাকতো চট্টগ্রাম রেলস্টেশন। তবে গতকাল লকডাউনের প্রথমদিন ছিল একেবারে সুনসান নীরবতা। যাত্রীবাহী কোন ট্রেন চলাচল না করলেও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেনারবাহী এবং সাইলো থেকে খাদ্যবাহী ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে গেছে। রাত সাড়ে ১০টায় তেলবাহী একটি ট্রেনও সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
বিকালে রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, কোলাহলমুখর চট্টগ্রাম রেল স্টেশন একেবারেই সুনসান নিরব। ইঞ্জিনের সাইরেন আর যাত্রীদের হৈ হুল্লোড়ে সারাদিন যে স্টেশন মুখর থাকতো সন্ধ্যা হতে হতেই তা অনেকটা ভুতুড়ে রূপ নেয়। সমস্ত প্রবেশ পথ বন্ধ। ভিতরে গিয়ে দেখা যায় স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী স্টেশন এলাকা দেখভাল করতে এসেছেন। আরএনবির চিফ ইন্সপেক্টর মো. সালামত উল্লাহও তার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে স্টেশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন।
স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী আজাদীকে জানান, লকডাউনের কারনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও স্টেশনের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদেরকে আসতে হয়। স্টেশন এলাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ জিসিনপত্র রয়েছে-এগুলো দেখতে হয়।
আরএনবির পোস্টিং হাবিলদার শোয়াইব আজাদীকে জানান, ‘আরএনবির চিফ ইন্সপেক্টর মো. সালামত উল্লাহ স্যারসহ আমরা স্টেশনে সকাল থেকে আছি। পুরাতন স্টেশন দিয়ে যাতে কেউ ঢুকতে না পারে, আবার নতুন স্টেশন দিয়েও যাতে কেউ স্টেশনের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা স্টেশনের চারদিকে নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোর ৫টা ২০ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত একটি খাদ্যবাহী ট্রেন, একটি তেলবাহী ট্রেন, নতুন ব্রডগেজের ৩টি ইঞ্জিন নিয়ে একটি ট্রেন এবং কন্টেইনারবাহী ৩টি ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।