রেলওয়ের ক্যাটারিং সার্ভিসের টেন্ডারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ও করা হচ্ছে না নতুন টেন্ডার

| সোমবার , ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৫০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ রেলওয়েকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করে বার বার ব্যার্থ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার।
রেলওয়ের কিছু আসাধু কমকর্তার কারনে বাংলাদেশ সরকার এবং রেল মন্ত্রণালয় শত চেস্টায় ও থামছে না বাংলাদেশ রেলওয়ের দুর্নীতি। একটি স্ক্রু কেনা থেকে শুরু করে রেল ইঞ্জিন কেনা সব বিভাগেই চলছে দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্য। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়মনীতির তোযাক্কা না করেই  ক্যাটারিং সার্ভিসের চার বছরের  টেন্ডারের সময় সীমা শেষ হওয়ার পর নতুন করে টেন্ডার আহব্বান না করে তা আবার আগের ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের কাছেই  নাম মাত্র মুলই নবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ের  সি সি এম বিভাগ ( চীফ কর্মাশিয়াল ম্যানেজার)। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিপুল অংকের অর্থেব ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিযম অনুযায়ী টেন্ডারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবারও নতুন করে টেন্ডার আহব্বান কর‍তে হয়,  কিন্তু রেলওয়ে পুর্বাঞ্জলের কতিপয় দুনীতিগ্রস্থ কর্মকতার কারনে নতুন টেন্ডার আহব্বান না করেই পুরানো ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের কাছেই নাম মাত্র মুল্য্য নবায়ন করা হযেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যাটারিং সার্ভিস।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, সুবনা একপ্রেস (এস এ কপোরেশন)। মহানগর গোধূলি  এবং তুনা এক্সপ্রেস (সপ্নিল এসোসিয়েশন।) তিস্তা এক্সপ্রেস (জান্নাত টেডিং)পারাবত এক্সপ্রেস (প্রগতি রেলওয়ে ক্যাটারস) মহানগর ও বিজয় এক্সপ্রেস (শাহা আমানত এক্সপ্রেস) কালানী এক্সপ্রেস ( মোরশেদ) হাওর এক্সপ্রেস (মাহী কনসোটিযাম) সোনার বাংলা (হাবিব বানিজ্য বিতান) মোহন গঞ্জ এক্সপ্রেস (সামির এন্টারপ্রাইজ),  এ-ই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোর মালিক থেকে অবৈধ ভাবে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বারবার ক্যাটারিং সার্ভিস এর টেন্ডার গুলো নবায়ন করে দেয় রেলওয়ে পুর্বাঞ্জলের কিছু আসাধু কমকর্তা। তথ্য মতে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং রেলওয়ের আসাধু কমকর্তাদের মাধ্যম হয়ে কাজ করে ওয়ালিউর রহমান  নামের এক ঠিকাদার। এ-ই সিন্ডিকেটের দেয়া খাবারের মান যেমন নিম্নমানের সে অনুযায়ী খাবারের দাম আকাশ্চুম্বি। অধিকাংশ খাবার ই থাকে বাসি, অনেক সময় দেখা গেছে অনেক যাত্রী এ-ই বাসি খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পডেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন, আমরা বছরের পর বছর ঘুরেও একটি টেন্ডার পায় না। কিন্তু এ-ই সিন্ডিকেট টি প্রতিবারই টেন্ডার গুলো নবায়ন করে নিয়ে যাচ্ছে যা রেল আইন অনুযায়ী সম্পুর্ন বেআইনী।
বছরের পর বছর একটি টেন্ডার ও না পাওয়ই আমার মতো আরও অনেক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, আবার অনেক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। সাধারণ ঠিকাদারদের আজকের এ-ই পরিনতির কারণে আছে ওলিউর রহমান নামের এক ঠিকাদার। এ-ই ওলিউর রহমানই রেলওয়ের দুনীতিগ্রস্থ কর্মকতা এবং অসাধু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোর মাধ্যমে হিসাবে কাজ করে।

এ-ই বিযয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের  সি সি এম বিভাগের  প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাজমুল হাসান এর মোবাইলে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যাস্ত আছি বলে ফোনের সংযোগ টি বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর আরও কয়েকবার ফোনে উনার সাথে যোগাযোগের চেস্টা করলে উনি ফোন রিসিভ করেন নি।

রেলওয়ের এইসব দুনীতিগ্রস্থ কর্মকতা এবং অসাধু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোর কারণে রেল বিভাগ যেমন বিপুল পরিমাণ অর্থের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তেমনি হারাচ্ছে যাত্রী সেবার মান। রেলওয়েকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসতে হলে অতিবিল্মবে এইসব  দুনীতিগ্রস্থ কর্মকতা এবং অসাধু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্বচলচ্চিত্রের আরেকটি অধ্যায়ের সমাপ্তি
পরবর্তী নিবন্ধমানবতার কল্যাণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে