রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল পেল ১০ মিটারগেজ ইঞ্জিন

যুক্ত হবে আন্তঃনগর ট্রেনে

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৭ অক্টোবর, ২০২০ at ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ইঞ্জিন সংকটের মাঝে কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত ১০টি মিটারগেজ (এমজি) ডিজেল ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিন ট্রায়াল শেষে রেলের পূর্বাঞ্চলের বহরে যুক্ত হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার একটি ইঞ্জিনের ট্রায়াল শেষ হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে সব ধরনের ট্রায়াল শেষে ইঞ্জিনগুলো পূর্বাঞ্চলের বহরে যুক্ত হবে বলে জানান প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (পূর্ব) এফ এম মহিউদ্দিন। এদিকে আজ বুধবার বিকালে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন নতুন আমদানিকৃত লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) পরির্দশনে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে যাবেন। এরপর ইঞ্জিনগুলোর সব ধরনের ট্রায়াল শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে এগুলো পূর্বাঞ্চলে চলবে। এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী এফ এম মহিউদ্দিন আজাদীকে জানান, নতুন যে ১০টি মিটারগেজ (এমজি) ডিজেল ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিন হুন্দাই রোটেন কোম্পানির কাছ থেকে কেনা হয়েছে, সেগুলোর এখন ট্রায়াল চলছে। একটি ইঞ্জিনে লাইট ট্রায়াল ও লোড ট্রায়ালসহ অনেক ধরনের ট্রায়াল আছে। সব ধরনের ট্রায়াল শেষ হতে আরো এক মাস সময় লাগবে।
মেকানিক্যাল বিভাগ থেকে জানা গেছে, কোরিয়া থেকে প্রকৌশলী দলটি চট্টগ্রাম পৌঁছলেই শুরু হবে ইঞ্জিনের কমিশনিং। প্রতিটি ইঞ্জিন কমিশনিংয়ে কমপক্ষে ৭/৮ দিন সময় লাগতে পারে। এরপর পাহাড়তলী ডিজেল শপ থেকে চিনকি আস্তানা স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার লাইট ট্রায়ালে যাবে ইঞ্জিনগুলো। লাইট ট্রায়ালের পর ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের (ডিআরএম) তত্ত্বাবধানে লোড ট্রায়ালে শতভাগ কার্যকর প্রমাণ হলে ইঞ্জিনগুলো যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত হবে। কোচ কম্পোজিশন অনুযায়ী ১৮ থেকে ৩৬ অর্থাৎ ১৮টি কোচ প্যাসেঞ্জার বহন ক্ষমতা ওজনের বালির বস্তা দিয়ে লোড ট্রায়াল করা হবে।
এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে মিটারগেজ (এমজি) লাইনে ট্রেন চলাচলের জন্য চারশ কোটি টাকা ব্যয়ে উক্ত ইঞ্জিন কেনা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করা পর্যন্ত প্রতিটি ইঞ্জিনের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।
এসব লোকোমোটিভসের ক্ষমতা একশ কিলোমিটার গতি সম্পন্ন। তবুও সর্বোচ্চ ৭৫ থেকে ৮০ কিলেমিটার গতিতে পূর্বাঞ্চলীয় মিটারগেজ রেললাইনে চলাচলের নির্দেশনা রয়েছে কোরিয়ান কোম্পানির।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজীর্ণ সেতুতে ‘মন্ত্রীর আগমনের’ রং
পরবর্তী নিবন্ধচাকরির দেওয়ার নামে আটকে রেখে দেহ ব্যবসা