মীরসরাইয়ে রেল লাইনে উঠে যাওয়া মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত ও ৭ জন আহতের ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। এ ঘটনায় আহতদের দেখতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এসে মহিউদ্দিন রনি এ কথা বলেন। গতকাল বিকেলে হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে আসেন তিনি।
রেলওয়ের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার পরিবর্তন চেয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আলোচনায় আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থী। রেলের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে মহিউদ্দিন রনি বলেন, আমি ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করছিলাম। কিন্তু একমাসেও রেল কর্তৃপক্ষকে নাড়াতে পারিনি। তাদের গাফিলতির ফলে আজ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। অনেকের পরিবারে আহাজারি চলছে। বারবার দায়সারা কাজ করছে রেল কর্তৃপক্ষ।
তাদের প্রত্যেকটা অবহেলা, অব্যবস্থাপনার হিসাব-নিকাশ দিতে হবে। এত মর্মান্তিক একটি ঘটনা ঘটে গেল, কার দোষ, কার গাফিলতি- একজন নাগরিক হিসেবে সেটা দেখতে আমি এসেছি। এসময় আহতদের উদ্দেশ্য করে মহিউদ্দিন রনি বলেন, এ ঘটনায় আহত-নিহতদের রেল যেন ক্ষতিপূরণ দেয়। আমি সেটা চাইবো। ক্ষতিপূরণ আদায়ে আহতদের পরিবারের সদস্যদেরও পাশে চান তিনি। উল্লেখ্য, রেল পরিষেবার উন্নতি, টিকিট কালোবাজারি বন্ধসহ আরো কয়েক দফা দাবিতে গত ৭ জুলাই থেকে টানা ১৩ দিন কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান করে প্রতিবাদ জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।