সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে হবে। কোনোভাবেই অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া যাবে না। ভোক্তাকে হয়রানি বা ভোক্তার সাথে প্রতারণা করা যাবে না। ভোক্তাকে যারা ভোগান্তিতে ফেলবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল রোববার নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনের সময় ব্যবসায়ীদের এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। কাপড়ের দোকান থেকে শুরু করে ভোগ্যপণ্যের বাজার যেমন মুরগি, গরু, লেবু, শসা, তেলসহ সবরকম দোকানে টিম নিয়ে ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসক।
পরিদর্শনের একপর্যায়ে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, ব্যবসা করতে হলে নিয়ম–নীতি মেনে করতে হবে। সেটি হচ্ছে কিনা তা দেখতে এসেছি। গরুর মাংসের দোকানে গিয়ে দেখি, হাড়সহ ৭৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। হাড় ছাড়া বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকায়। সরকার এ দর ঠিক করে দিয়েছে। একটা দোকানে হাড়সহ মাংস ৭৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এমনটা পেয়েছি। পরে আমাদের মোবাইল কোর্ট ওই দোকানকে জরিমানা করেছে। এসব করা যাবে না। সরকার নির্ধারিত দরে পণ্য বিক্রি করতে হবে। কোনোভাবেই অতিরিক্ত দরে বিক্রি করা যাবে না।
তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, বাজার পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। পুরো রমজানে আমাদের ৪০০ অভিযান চলবে। ইতিমধ্যে দেড়শ অভিযান শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, খোলা তেল ১৬০ টাকায় বিক্রি করতে বলা হয়েছিল। আমরা পরিদর্শনে গিয়ে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এমনটা দেখেছি। বোতল বিক্রি হচ্ছে আড়াইশ টাকায়। তেল ছাড়করণ চলছে। পর্যাপ্ত সরবরাহও রয়েছে। এরপরও কোনো অভিযোগ থাকলে ভোক্তারা যেন আমাদের জানায়। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব। ভোক্তাদের সাথে কথা হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ভোক্তা সন্তুষ্ট। আমাদের একটিই চাওয়া। ভোক্তা যাতে ভোগান্তির শিকার না হন। ব্যবসায়ীদের এটা বলেছি।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গতকাল জেলা প্রশাসকের পরিদর্শনের সময় রেয়াজুদ্দিন বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাকিব শাহরিয়ার, সাইফুল ইসলাম ভূঞা, সুমন মন্ডল অপু ও ইজাহারুল আহম্মেদ শিহাব। অভিযানকালে বিভিন্ন মুদি দোকান, মসলার দোকান, কাঁচাবাজার, মাংসের বাজার, খেজুর, ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের বাজার পরিদর্শন করা হয়। এ সময় নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে পণ্য বিক্রি, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও মূল্যের তালিকা হালনাগাদ না থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এবং কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ৬টি মামলায় ৩২ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং সতর্ক করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।