রেয়াজউদ্দীন বাজারে জুতার গুদামে আগুন

পথ সরু হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় কয়েকজন ফায়ার সার্ভিসকর্মী আহত

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ at ৭:২৩ পূর্বাহ্ণ

নগরীর রেয়াজউদ্দীন বাজারের তামাকুমন্ডি লেইনে জুতার গুদাম ও খেলনার দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তামাকুমন্ডি লেইনের রহমান ম্যানশনের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ধোঁয়া বন্ধ হয়নি। সরু রাস্তা হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের সব গাড়ি ভিতরে ঢুকতে পারেনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি ব্যবসায়ী এবং ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। জানা গেছে, রাত ৮টার দিকে আগুন লাগার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। এরপর আগুন নেভানোর জন্য তারা কাজ করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে বলে জানান। তবে তখনো ধোঁয়া বের হচ্ছিল।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি তামাকুমন্ডি লেইনে ঢুকতে পেরেছে। বাকি গাড়িগুলো সড়কে অবস্থান করছে। ফায়ার ফাইটাররা জানালা দিয়ে পানি দিচ্ছেন। মূল সিঁড়ি দিয়ে পানির লাইন নেওয়ার মতো জায়গা না থাকায় জানালা দিয়ে পানি দেয় ফায়ার সার্ভিস। জুতার পোড়া ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। ধোঁয়ায় কয়েকজন ফায়ার সার্ভিসকর্মী আহত হন।

প্রাথমিকভাবে ব্যবসায়ীদের ধারণা, অন্তত ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রয়েছে। রাত ১০টার দিকেও ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। মূলত জুতা ও রাবার জাতীয় পণ্য থাকায় থেমে থেমে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। তামাকুমন্ডি লেইন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, রহমান ম্যানশন তৃতীয় তলা পুরোটা জুতার গোডাউন। এছাড়া ছোটদের খেলনা ও গহনার দোকান রয়েছে। হুট করে আগুনটা লেগেছে। গোডাউনে লোক ছিল না। আশপাশের দোকান মালিক ও কর্মচারীরা নিরাপদে সরে এলেও লাখ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেল। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখন বলতে পারব না। এখানে কোটি কোটি টাকার মালামাল রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ রয়েছে জুতা।

রহমান ম্যানশন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু তালেব বলেন, ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। আগুন লাগার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের (জোন) উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মন্নান বলেন, আমরা ৮টার দিকে আগুন লাগার খবর পাই। খবর পাওয়ার সাথে সাথে ছুটে আসি এবং কাজ শুরু করি। কিন্তু জায়গাটা অত্যন্ত সংকীর্ণ ও ঘন দোকান হওয়ায় আমাদের কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। জায়গা প্রশস্ত হলে আরও আগে আগুন নেভানো যেত। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে বলা যায়। তবে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। হয়ত রাবার থাকার কারণে সেগুলো জ্বলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলন্ডনে খালেদার সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ
পরবর্তী নিবন্ধগোয়ালাপাড়ায় আগুনে পুড়ল ১২ বসতঘর