রেজা কিবরিয়া-নুর কৌতুকের জন্ম দিয়েছেন : তথ্যমন্ত্রী

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপির সাথে সংলাপ নয়

| মঙ্গলবার , ৪ জুলাই, ২০২৩ at ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুর কৌতুকের জন্ম দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুর কিছু কৌতুকের জন্ম দিয়েছেন, তাদের কোনো জনভিত্তি নেই। তারা শুধু টেলিভিশনে আর নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্রব নাই। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির সাথে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না। তিনি গতকাল সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ এট এ গ্ল্যান্স’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের

এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি, বিএনপি দেশে একটি গণ্ডগোল পাকাতে চায়, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই তাদের দাবি এবং আন্দোলনের উদ্দেশ্য, তাই এ নিয়ে সংলাপের কোনো প্রয়োজনীয়তা নাই। খবর বাসস ও বাংলানিউজের।

গণঅধিকার পরিষদের দুই নেতার পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, যেসমস্ত কথাবার্তা, যে সমস্ত কারণে তাদের দলের ভাঙন, তবহিল তছরুপ, কারও সাথে আঁতাত, বিদেশি বিভিন্ন অপশক্তির কাছে মেলামেশা, তাদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ, এগুলো তাদের জন্যই প্রচণ্ড অবমাননাকর এবং তাদের এই যে বাহাস, এটি রাজনৈতিক কৌতুক ছাড়া অন্য কিছু নয়। নুরের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আঁতাত রয়েছে বলে রেজা কিবরিয়ার দাবির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রেজা কিবরিয়া অনেক কথা বলেছেন, আবার নুর রেজা কিবরিয়ার সম্পর্কে অনেক কথা বলেছেন। আমাদের দলের সাথে নুরের কোনো যোগাযোগ নেই।

তিনি বলেন, নুরের বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ তো নানা সময় নানাজন করেছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নুরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন যে, তিনি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টের সঙ্গে অন্তত তিনবার বৈঠক করেছেন এবং সেটির কোনো ইফেকটিভ প্রতিউত্তর নুরের কাছ থেকে আসেনি। সমপ্রতি নুর ও রেজা কিবরিয়ার যে বাহাস, এগুলো আমরা উপভোগ করছি। সেগুলো কৌতুক ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়।

তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করার কোনো বাধ্যবাধকতা নাই। সে সময়ে সরকারের আকার ছোট হবে না, বর্তমানে যারা মন্ত্রিসভায় আছে তারা সবাই থাকবে কিংবা আমাদের শরিকদের মধ্য থেকে কাউকে নেওয়া হবে, সেগুলো প্রধানমন্ত্রী দেখবেন, তিনিই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। বিএনপি যদি সংসদে থাকতো হয়তো বা সেক্ষেত্রে তাদেরও সুযোগ থাকতো।

বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য ‘সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় কাজে ব্যবহার করছে’ এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভালো কাজ করছে বিধায় দেশে আমরা জঙ্গি দমন করতে পেরেছি, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের অগ্নিসন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিধায় তারা এখন অগ্নিসন্ত্রাস করতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করছে, শুধু সন্ত্রাসী ও অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহৃত হচ্ছে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসরকার পালাবারও পথ খুঁজে পাবে না : ফখরুল
পরবর্তী নিবন্ধমানুষের স্বস্তি দেখে ফখরুলের মন ভালো নেই : কাদের