রূপার আত্মহত্যায় অভিযুক্তদের শাস্তি চেয়ে প্রিমিয়ার ভার্সিটির সহপাঠীদের মানববন্ধন

| বৃহস্পতিবার , ৩ অক্টোবর, ২০২৪ at ৫:০৩ পূর্বাহ্ণ

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির (৪০তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ফারহানা ইয়াসমিন রূপাকে আত্মহত্যায় বাধ্য করে খুন করার প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সহপাঠীরা। গতকাল বুধবার নগরের দামপাড়া ওয়াসার মোড় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে যোগ দেন বিবিএ ডিপার্টমেন্টের সাইফ মোহাম্মদ, ফয়জুন্নেছা নিশি, আইন বিভাগ ৫০তম ব্যাচের বাইত উল্লাহ বায়াত, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজে বিবিএ ৫ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মোজাম্মেল হক টুটুল, রুপার বাবা আব্দুর রশিদ, ভাই রাহিদুল ইসলাম রাহিদ, মামা তাজুল ইসলাম, জাহেদ হোসাইন (মেম্বার)

বক্তারা বলেন, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন গৃহবধূ ফারহানা ইয়াসমিন রূপা। আত্মহত্যার আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমি যদি সুইসাইড করি বা আমার কোন কিছু হয় এর জন্য দায়ি আমার শাশুড়ি। উনি আমাকে মেন্টালি প্রেসার ক্রিয়েট করেছেন এটা করার জন্য। ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় শুলকবহর এশিয়ান হাউজিং সোসাইটির জাকির ম্যানশনের ২য় তলায় একটি কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন রূপা।

রেখে যান মাশরুফ আলম নামের ৪ বছরের সন্তানকে। তাকে আত্মহত্যায় বাধ্য করার দায়ে ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে পাঁচলাইশ মডেল থানায় স্বামী মারুফ মোহাম্মদ নাজবুল আলম (৩৮), ছাবেরা বেগম (৫৬), বেবি আক্তার (৪৫) ও ফরিদা বেগম (৪৩) এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলেও আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি। বক্তারা দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কঙবাজারের টেকনাফ এলাকার আবদুর রশিদের কন্যা ফারহানা ইয়াছমিন রূপার সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মৃত ফরিদুল আলমের ছেলে মারুফ মো. নাজবুল আলমের (৩৮)। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে রূপার ওপর নির্যাতন চালাতো এবং রূপাকে তার বাবার ফ্ল্যাট স্বামীর নামে লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করতো বলে অভিযোগ করেছে রূপার পরিবার। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাকলিয়ায় কারখানা থেকে ২ হাজার ১১০ কেজি পলিথিন জব্দ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ গড়ে তুলতে অ্যালামনাইদের সহযোগিতা জরুরি