রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে কৌশলগত বোমারু বিমানের ওপর হামলায় ব্যবহৃত বিস্ফোরকবাহী ড্রোনগুলো ইউক্রেনের গুপ্তচর সংস্থা কাঠের শেডের ছাদের ভেতরে লুকিয়ে হামলাস্থলগুলোর কাছে নিয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন কিয়েভের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা। অনলাইনে পোস্ট করা একাধিক ছবিতেও একই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। খবর বিডিনিউজের।
ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ স্পাইডারস ওয়েব সাংকেতিক নামের এই হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। হামলায় রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি কিয়েভের। ইউক্রেনের ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, ড্রোন বহন করা শেড বা ছাউনিগুলো ট্রাকে করে বিমান ঘাঁটিগুলোর সীমানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর দূর থেকে প্রযুক্তির সহায়তায় ওই ছাউনিগুলো সরিয়ে ড্রোনগুলোকে ওড়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়, পরে ওই ড্রোনগুলো হামলায় নামে।
রাশিয়ার মোট চারটি বিমানঘাঁটিতে এ হামলা চালানো হয়, এতে রাশিয়ার ৪১টি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দাবি নাম প্রকাশে রাজি না হওয়া ওই কর্মকর্তা। টেলিগ্রামে দেওয়া পোস্টে এসবিইউ বলেছে, তাদের অনুমান রুশ বিমানঘাটিঁগুলোতে চালানো হামলায় মস্কোর প্রায় ৭০০ কোটি ডলার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রধান বিমানঘাঁটিতে থাকা কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্যারিয়ারের চৌত্রিশ শতাংশে আঘাত হানা হয়েছে, বলেছে তারা। হামলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেন স্বতন্ত্রভাবেই এই ফল এনেছে। এটাই আমাদের সবচেয়ে দূরপাল্লার অভিযান, দেড় বছরের প্রস্তুতিতে এ হামলা চালানো হয়েছে জানিয়ে টেলিগ্রামে এমনটাই বলেছেন তিনি।
হামলায় ১১৭টি ড্রোন ব্যবহৃত হয়েছে এবং এতে রুশ বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলেনস্কির দাবি, এই অভিযানের জন্য কিইভ রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবির একটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের পাশেই একটি অস্থায়ী কেন্দ্র স্থাপন করেছিল। অভিযানের আগে আগেই এতে অংশ নেওয়া সব কর্মীদের রাশিয়া থেকে বের করে আনা হয়েছে, বলেছেন তিনি।