বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎকারী রুবাইয়া ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি হারুন অর রশিদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত সোমবার দুটি চেকের মামলায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার তাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। এর আগে উক্ত দুটি চেকের মামলার পরোয়ানামূলে পুলিশ হারুন অর রশিদকে আদালতে উপস্থাপন করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হানিফ দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুটি চেকের মামলায় হালিশহর থানা পুলিশ হারুন অর রশিদকে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার পক্ষে কোন জামিন আবেদন ছিল না বলেও তিনি জানান। বেঞ্চ সহকারী বলেন, হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। এরমধ্যে অনেক মামলায় তার সাজা হয়েছে। অনেক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আমাদের কোর্টে দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের কোর্টে থাকা চেকের মামলা দুটি গত মে মাসে নগরীর বাদামতলি এলাকার আলম স্টীল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়।
আদালতসূত্র জানায়, হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে সবমিলে খেলাপিসহ নানা অভিযোগে ৪৫টির মতো মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ৩০টির মতো মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে। ১৩ টি ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতেও তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
আদালতসূত্র জানায়, গত রোববার ঢাকার মতিঝিল থানা পুলিশ হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করে। পরে নগরীর ডবলমুরিং ও হালিশহর থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। মতিঝিলের দিলকুশা এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। এর আগেও ২০১৯ সালে হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জামিনে গিয়ে পলাতক হয়ে পড়ে। রুবাইয়া ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ছাড়ড়াও হারুন অর রশিদের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে–এইচ স্টিল রি–রোলিং মিলস লিমিটেড, ন্যাশনাল আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, রুবাইয়া প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, চিটাগাং ইস্পাত লিমিটেড ও আমানত স্টিল লিমিটেড। ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, মতিঝিল থানা পুলিশ হারুন অর রশিদকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।