পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচ গড়াল শেষ ওভারে। সেখানেও কম হলো না নাটকীয়তা। শেষ হাসি হাসল যেখানে পাকিস্তান। শেষের ব্যাটিং বীরত্বে আফগানিস্তানের মুঠো থেকে জয় বের করে নিলেন বোলার নাসিম শাহ। শ্রীলঙ্কার হাম্বানতোতায় গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের জয় ১ উইকেটে। ৩০১ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে তারা ১ বল বাকি থাকতে। তিন ম্যাচের সিরিজ পাকিস্তান জিতে নিল এক ম্যাচ হাতে রেখে। খবর বিডিনিউজের।
শেষ ২ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ২৭ রান, হাতে ২ উইকেট। শেষের আগের ওভারে ১৬ রান নিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলেন শাদাব খান। শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১১। ফজলহক ফারুরির প্রথম বলে রান আউট হয়ে যান শাদাব। বোলার বল ছাড়ার আগেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান ব্যাটসম্যান, বল না ছেড়ে স্টাম্প ভেঙে দেন ফারুকি। দ্বিতীয় বলে চার মারেন নাসিম। পরের দুই বলে আসে ১ রান। ৩ বলে দরকার ৬। চতুর্থ বলে আফগান ফিল্ডারের তালগোল পাকানো ফিল্ডিংয়ে হারিস রউফের ব্যাট থেকে আসে ৩ রান। পঞ্চম বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি নাসিম, ব্যাটের কানায় লেগে থার্ড ম্যান দিয়ে হয়ে যায় বাউন্ডারি। ব্যাট হেলমেট ছুড়ে ফেলে উল্লাসে ফেটে পড়েন নাসিম। ঠিক যেন এক বছর আগে এশিয়া কাপের মতো!
শারজাহতে টি–টোয়েন্টি সংস্করণের ওই ম্যাচেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১১ রান। ফারুকির প্রথম দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে নাটকীয় জয় এনে দেন নাসিম। সেই জয়ও ছিল ১ উইকেটের!
একটা সময় অবশ্য পাকিস্তানের জন্য সমীকরণ ছিল সহজ। ৩০ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১৬৯ রানের শক্ত অবস্থানে ছিল তারা। ফিফটি করে খেলছিলেন ইমাম–উল–হক ও বাবর আজম। বাকি ২০ ওভারে দরকার ১৩২ রান। এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় আফগানিস্তান, জাগায় এই সংস্করণে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম জয়ের আশা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অধরাই রয়ে গেল তাদের জয়। কাজে এলো না রহমানউল্লাহ গুরবাজের দেড়শ ছোঁয়া রেকর্ড গড়া ইনিংসও। ৩৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা শাদাব। টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে ইমামের ব্যাট থেকে আসে ১০৫ বলে ৯১ রানের ইনিংস। প্রথম ম্যাচে শূন্য রানের পর এবার ৬৬ বলে ৫৩ রান করেন বাবর।