রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজি

স্পোর্টস ডেস্ক | শুক্রবার , ১১ জুলাই, ২০২৫ at ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ

ফরাসি লিগ এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের পর এবার ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার সুযোগ পিএসজির সামনে। এরই মধ্যে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পিএসজি। ক্লাব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বুধবার রাতে রিয়াল মাদ্রিদকে ৪০ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। জোড়া গোল করেছেন ফাবিয়ান রুইস। একটি করে গোল করেছেন উসমান দেম্বেলে ও গন্সালো রামোস। থিবো কোর্তোয়ার চমৎকার দুটি সেভের পরও ২৪ মিনিটের মধ্যে তিন গোলে পিছিয়ে পড়ল রিয়াল মাদ্রিদ। পিএসজির গোছানো আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে খুঁজেই পাওয়া গেল না জাবি আলোন্সোর দলকে। দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় একটু উন্নতি করলেও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের চ্যালেঞ্জই জানাতে পারল না তারা। আগামী রোববার নতুন আঙ্গিকের ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসির মুখোমুখি হবে পিএসজি। অপরদিকে ভীষণ হতাশার মৌসুমে ট্রফি শূন্যই থাকল ই্‌উরোপের সফলতম দলটি। এর বিপরীত অবস্থা পিএসজির। আরাধ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর এবার লুইস এনরিকের দলের সামনে সুযোগ আরেকটি শিরোপা প্রথমবারের মতো জয়ের।

খেলা শুরুর প্রথম চার মিনিটে দুটি দুর্দান্ত সেভ করেন থিবো কোর্তোয়া। কিন্তু তার ডিফেন্ডারদের নিদারুণ ব্যর্থতায় পরের পাঁচ মিনিটে জোড়া গোল করে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পিএসজি। নিজেদের পেনাল্টি স্পটের কাছে বল পেয়ে ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে পারেননি রেয়ালের সেন্টারব্যাক রাউল আসেন্সিও। বল কেড়ে নিয়ে এগিয়ে যান দেম্বেল। ছুটে গিয়ে তাকে কড়া ট্যাকল করে বসেন কোর্তোয়া। বলের নাগাল পাননি বেলজিয়ান গোলরক্ষক, সেটি পেয়ে যান রুইস। অরক্ষিত স্প্যানিশ মিডফিল্ডার অনায়াসে খুঁজে নেন ফাঁকা জাল। ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই আরেক সেন্টারব্যাক আন্টোনিও রুডিগারের মারাত্মক ভুলে আরও পিছিয়ে পড়ে রেয়াল। নিজেদের অর্ধে বল পেয়ে শট নিতে পারেননি জার্মান ডিফেন্ডার। পেছন থেকে ছুটে গিয়ে বল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আড়াআড়ি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ফরাসি ফরোয়ার্ড দেম্বেলে।

যানজটের জন্য দুই দল ২০ মিনিট দেরিতে আসায়, ১০ মিনিটে দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে রিয়াল শুরু করেছিল অনেকটা যেন ঘরের মাঠে খেলার অনুভূতি নিয়ে। গ্যালারিতে আধিক্য ছিল তাদের সমর্থকদের। কিন্তু শুরুর দুই গোলে তাদের মাঝে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। ২৪ মিনিটে তাদের যেন শোকের সাগরে ডুবান রুইস। পেনাল্টি স্পটের কাছে আশরাফ হাকিমির চমৎকার পাস পেয়ে, ফেদে ভালভের্দের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে ঠাণ্ডা মাথায় নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন রুইস। পিএসজির রক্ষণে পাল্টা চাপ তৈরি করা দূরের কথা, বলের নাগালও পাচ্ছিল না রিয়াল। প্রায় ৮০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে আক্রমণ করে যাচ্ছিল পিএসজি। ৩৯ মিনিটে ব্যবধান আরও প্রায় বাড়িয়েই ফেলছিল তারা। একটুর জন্য শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি খাভিচা কাভারাৎস্খেলিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে ৪৭ মিনিটে রিয়ালের জালে বল পাঠান দিজিরে দুয়ে। কিন্তু অফসাইডের জন্য মেলেনি গোল। একপেশে ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান রামোস। খুব কাছ থেকে গতিময় শটে জাল খুঁজে নেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। গোল উদযাপনে তিনি স্মরণ করেন মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো জাতীয় দলের সতীর্থ দিয়োগো জটাকে। শেষ পর্যন্ত বড় জয়ে ফাইনালে উঠার আনন্দে মাতে পিএসজি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ স্থগিত করেছে ভারত, এবার এসিসি সভাও প্রত্যাহার চায়
পরবর্তী নিবন্ধশিরোপার লক্ষ্যে মাঠে নামবে বাংলাদেশ