বল হাতে রিপন মন্ডল আর ব্যাট হাতে জিসান আলমের নৈপূন্যে অস্ট্রেলিয়ায় সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ এইচটি দল। অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি–টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটেল টেরিটরি কমেটসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ এইচপি। ডারউইনের টিআইও স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় গতকাল বৃহস্পতিবার ১২৫ রানের লক্ষ্য ২০ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে এইচপি দল। চার ম্যাচে বাংলাদেশের দলটির এটি দ্বিতীয় জয়। ৯ দলের টুর্নামেন্টে আরও পাঁচটি দলের ঝুলিতেও আছে সমান ৪ পয়েন্ট। তবে শ্রেয়তর নেট রান রেটের সৌজন্যে তিন নম্বরে উঠে গেছে আকবর আলির নেতৃত্বাধীন দল।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা এসিটি কমেটস তৃতীয় ওভারে হারায় ইসাম রহমানের উইকেট। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩২ রান যোগ করেন মাইকি ম্যাকনামারা ও টায়লার ভ্যান লুন। দ্বিতীয় ওভারে পারভেজের ভুলে জীবন পাওয়া ম্যাকনামারা করেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান। ২৬ বলের ইনিংসে ৩ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মারেন তিনি। এছাড়া আর কেউই তেমন কিছু করতে পারেননি। ফলে বড় হয়নি কমেটসের সংগ্রহ। নিজেদের ৪ ওভারে ২৬ রান করে খরচ করেন রিপন ও আবু হায়দার। নিয়েছেন যথাক্রমে ৩টি এবং ২টি উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার মাহফুজুর রহমান ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রানে নেন ১ উইকেট। শুরুতেই ব্রেক থ্রু এনে দেন রিপন মন্ডল। পরে তিনি নিলেন আরও ২ উইকেট। তরুণ পেসারের সঙ্গে অন্যদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অল্পতেই আটকে গেল এসিটি (অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটেল টেরিটরি) কমেটস। তারা অল আউট হয় ১২৪ রানে। সফরজুড়ে দারুণ ছন্দে থাকা রিপন ২৬ রানে নেন ৩ উইকেট। তিন সংস্করণ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত চলতি সফরে ৭ ম্যাচের ৯ ইনিংসে তার শিকার ১৬ উইকেট।
১২৫ রান রান তাড়া করতে নামা বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন জিসান ও তানজিদ হাসান। দুজন মিলে ৫ ওভারে পূর্ণ করেন দলের ৫০ রান। পঞ্চম ওভারে কাই ব্রাঙ্কারের বলে দুইটি ছক্কা মারেন জিসান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম বলে ফিরেন তানজিদ। ২ চারের সাহায্যে তিনি করেন ১৫ বলে ১৮ রান। এরপর ৪৪ রানের জুটি গড়েন পারভেজ হোসেন ও জিসান। ব্যাটিংয়ে নামার পর থেকে ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না পারভেজ। ব্যক্তিগত ১৯ ও ২১ রানে পরপর দুই বলে জীবন পান তিনি। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বাঁহাতি টপ–অর্ডার ব্যাটসম্যান। এক বল পর ২৪ বলে ২৩ রান করে ফিরেন পারভেজ। দলকে একশ পার করিয়ে ১৪তম ওভারে থামেন জিসান। ৩৬ বলে ৫০ রান করেন তরুণ ওপেনার। মেসরেছেন ১টি চার ও ২ ছক্কা। জয়ের খুব কাছে গিয়ে ফিরেন আফিফ হোসেন। তার ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ১৭ রান। সিরিজের চার ম্যাচে এটিই তার সর্বোচ্চ স্কোর। পরে আকবর ও শামীম হোসেন ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়েন। ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জিতেছেন জিসান আলম। একই মাঠে আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে পাকিস্তান শাহিনসের (‘এ’ দল) মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ এইচপি।