নগরীর লালদীঘি এলাকায় রিকশা চালকের ছদ্মবেশে নকল স্বর্ণ দিয়ে প্রতারণা করার সময় আলাউদ্দিন (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন পথচারীরা। গতকাল দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। প্রতারক আলাউদ্দিন ভোলা জেলার শশীভূষণ রসূলপুরের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। অপরদিকে ঘটনার শিকার আবদুর রহিম পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মৃত নোয়াব আলীর ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আবদুর রহিম বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, লালদীঘি পাড় এলাকায় বাদী আবদুর রহিম হেঁটে যাওয়ার সময় রিকশা চালকের ছদ্মবেশে প্রতারক আলাউদ্দিন একটি রুমাল ফেলে দেন। সেটি পথচারী আবদুর রহিমকে উঠাতে অনুরোধ করেন। এসময় রুমাল উঠাতে অপারাগতা প্রকাশ করলে প্রতারক আলাউদ্দিন সেটি নিজেই তুলে নেন এবং সেই রুমালের মধ্যে একটি চিরকুট ও সোনালী রঙের স্বর্ণের বার সদৃশ বস্তু দেখা যায়। আলাউদ্দিন চিরকুটটি আবদুর রহিম পড়ে শোনাতে অনুরোধ করলে সেটি তিনি পড়ে শোনান। সেখানে লিখা ছিল- ‘শ্রী মণিকা স্বর্ণকার আমার প্রণাম নিন। আমি বিশেষ কাজে আসতে পারিনি। আমার মেয়ের জন্য দুই ভরি ওজনের একটি থান স্বর্ণ পাঠাইলাম। রকেটসহ একটি চেন এবং ঝুমকা বানাবেন। আমি পরে এসে নিয়ে যাব।’ চিরকুটটি পড়ে শোনার পর প্রতারক আলাউদ্দিন তাৎক্ষণিকভাবে পথচারী আবদুর রহিমকে বলেন এটি তো স্বর্ণ আমাকে ৪০ হাজার টাকা দিলে হবে। আলাউদ্দিনের প্রতারণার বিষয়টি তিনি বুঝতে পারলে স্বর্ণের বারটি তার নয় বলে দাবি করেন। এসময় তার রিকশায় চেপে কোতোয়ালী থানার দিকে যাওয়ার সময় থানা অতিক্রম করে তিনি ফিরিঙ্গি বাজারের দিকে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় তাকে পথচারীরা আটক করে থানায় সোপর্দ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, নকল স্বর্ণ দিয়ে প্রতারণার হাতে নাতে ধৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে।